আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আমি কসম ভেঙ করলে কাফের হয়ে যাবো - এই ধরনের কসম অনেকবার কেটেছি। একইসাথে এমন একটি কসম করেছি যেটা ভাঙলে তালাক হয়ে যাবে। সেই কসম আমি নষ্ট করেনি। এছাড়াও, অনেক এমন কসম ভেঙে ফেলেছি। কতবার ভেঙেছি আমি নিজেও জানি না। এখন, আমি কাফরারা দিতে চাই। কিভাবে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা। তবে, একটি কসম ভেঙে ফেললে তা তালাকের সাথে সম্পর্কিত। সেই কসম ভাঙিনি।

১)  কসম নষ্ট না করলে কি আমি কাফের হয়ে যাবো?
২) আমি উমুক কাজ করলে যাকে বিয়ে করবো সে ৩ তালাক হয়ে যাবে। এই ধরনের কসমের ক্ষেত্রে কি কখনোই কসম ভেঙে ফেলা যাবে না?
৩) আমি উমুক কাজ করলে কাফের হয়ে যাবো - এই ধরনের অনেক কসম কেটেছি। কোনটা ভঙ্গ করেছি আমি নিজেও জানি না। এখন কি আমি কি করবো? আমি এসব থেকে মুক্তি চাই।

৪) কি করলে আমার বিয়ে তালাক হবে না এবং সব মাফ হবে আমাকে দয়া করে জানান।
৫) কসম ভেঙে ফেলার কারণে কি আর ঈমান আনা যাবে না?
আমাকে কিছু পরামর্শ দিন।

1 Answer

0 votes
by (63,280 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/1808  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

আল্লাহর নাম বা জাত দ্বারা কোনো জিনিস করার বা না করার কসম করলে, কসম হয়ে যায়।যখন কেউ আল্লাহ নাম উচ্ছারণ করে কসম করে ফেলবে,তখন আল্লাহর নামের সম্মানার্থে সেই কসমকে পূর্ণ করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়।যদি সে কসম কে ভঙ্গ করে ফেলে,তাহলে তখন কসম ভঙ্গ করে আল্লাহর নামের বেহুরমতি করার শাস্তি স্বরূপ তাকে কাফফারা দিতে হবে।

 

কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, (১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। (২) অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। (৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরা মায়েদা-৮৯)

 

কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল, ১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্ত্র পরিধান করানো। খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে, ১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা। তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।

 

উল্লেখ্য যে,কসম শুধুমাত্র আল্লাহর নাম দ্বারাই হয়ে থাকে এবং কুরআন যেহেতু আল্লাহর কালাম,তাই কুরআন দ্বারাও কসম হবে। আল্লাহ-ই ভালো জানেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 579

কসম তিন প্রকার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/22859/?show=22859#q22859

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

. এ ধরণের কথা কুফরী কথাতাই আপনি তওবা ইস্তেগফার করুন

. এটা তালাক বিশ শর্ত বলেতাই আপনি ঐ কাজটা করার পর বিয়ে করলে স্ত্রী তিন তালাক হয়ে যাবে

. তওবা ইস্তেগফার করবেন এবং কসমের কাফফারা দিয়ে দিবেন

. এ ধরণের কথা বলা তো আপনার জন্য অনেক বড় অন্যায় হয়েছেআর আপনার প্রশ্নে অস্পষ্টতা থাকায় বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই নিকটস্ত কোনো নির্ভরযোগ্য ইফতা বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

. তওবা ইস্তেগফার করবেন এবং কসমের কাফফারা দিয়ে দিবেন


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...