আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
অনেক মেয়েদেরই মুখে (ভ্রু ব্যতিত) বাড়তি লোম হয়, যা কেটে ফেলতে হয়।
১.হাজ্জ এর সময় সাধারনত আমরা ১০দিন চুল নখ কাটিনা। কিন্তু মুখের লোম এতদিন না কেটেও থাকা যায়না। সেক্ষেত্রে শুধু মুখের লোম কাটলে কি সেই সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে যে সাওয়াবের আশায় আমরা হাজীদের মত চুল, নখ না কেটে থাকি?

২.একজন মহিলা হাজ্জ করতে গেলে তিনিও কি এই কয়দিন মুখের বাড়তি লোম কাটতে পারবেনা?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2192 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "(৫/১৭০) এ বর্ণিত রয়েছে,
ذهب بعض الحنابلة وبعض الشافعية: إلى أن من أراد أن يضحي فدخل العشر من ذي الحجة يجب عليه أن يمسك عن قص الشعر والأظفار، وهو قول إسحاق وسعيد بن المسيب. وقال الحنفية، والمالكية، وهو قول بعض الشافعية والحنابلة: يسن له أن يمسك عن قص الشعر والأظفار.
হাম্বলী মাযহাবের কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম এবং শাফেয়ী মাযহাবের কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন যে, যে ব্যক্তি কুরবানি করতে ইচ্ছুক,তার জন্য জিলহজ্ব মাসের এক তারিখ থেকে নিয়ে কুরবানির পূর্ব পর্যন্ত চুল,নক,মুছ ইত্যাদি না কাটা ওয়াজিব।ইমাম ইসহাক রাহ,ও সাঈদ ইবনে মুসাঈয়্যিব রাহ এরও মাযহাব এটাই।অন্যদিকে হানাফি ও মালিকী মাযহাব এবং হাম্বলী ও শাফেয়ী মাযহাবদ্বয়ের কিছু সংখ্যক উলামায়ে মনে করেন,চুল নক ইত্যাদি না কাটা সুন্নত।(আল মাওসুআকুল ফেকহিয়্যাহ-৫/১৭০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
জ্বী,সেক্ষেত্রে শুধু মুখের লোম কাটলে সেই সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে যে সাওয়াবের আশায় আমরা হাজীদের মত চুল, নখ না কেটে থাকি। কেননা চুলের মত সকল প্রকার চুলই শামিল।

(২)
জ্বী,কোনো মহিলা হজ্ব করতে গেলে তিনিও এই কয়দিন মুখের বাড়তি লোম কাটতে পারবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...