আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (25 points)
এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

 স্বামী যদি স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় বলে তোমাকে আমি মনে মনে তালাক দিয়েছি,আজকে তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি। তুমি যদি এখন আমার সাথে থাক তবে তোমার পাপ হবে।এগুলো বলার সময় কোনো সাক্ষী ছিল না স্ত্রী ব্যতীত। এরপর স্ত্রী যখন পর্দা করে সাথে সাথে,তখন স্ত্রীর সাথে অস্বীকার করে। পরে আবার যখন স্ত্রীর বাবা মা এসে জিজ্ঞেস করে তখনও অস্বীকার করে আর কথা ঘুরিয়ে বলে।
এতে কি তালাক হয়েছে? ★স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় স্বামী এসব বলছে।
★  (উল্লেখ্য, আগেও একবার স্ত্রীকে কয়েকবার" তুমি মুক্ত " বলেছিল। তখন এখানে জিজ্ঞেস করা হলে বলা হয় যে কেনায়া ১ তালাক হয়েছে এতে। কিন্তু তখনও সে এটা অস্বীকার করে যে সে তালাকের কথা মাথায় রেখে বলেনি, বা সে জানেও না যে এভাবে বললে তালাক হয়।তখন শায়েখকে আবার জিজ্ঞেস করা হলে বলেন তাহলে আবার সংসার করতে পারবে, আর সে যদি নিয়তকে অস্বীকার করে তবে তার পাপ হবে,স্ত্রীর হবে না।তাই আবার দুজনে সংসার করে।)

ইসলামে কি স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় তালাক দেওয়া যায়? দিলেও কি তা কার্যকর হয়? একজন উকিলকে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন যে এ অবস্থায় নাকি তালাক কার্যকর হয় না।কিন্তু কেউ যদি মুখে তালাক দিয়ে ফেলে তবেও কি তা কার্যকর হবে না?

তালাক হয়ে গেলে মোহরানার টাকা ব্যতীত অন্যকেনো ভরণপোষণের দায়িত্ব কি স্বামীর থাকে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/41223/ ফতোয়া মোতাবেকঃ
উক্ত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাক পতিত হয়ে গেছে।এখন তারা আর একত্রে বসবাস করতে পারবেন না।
স্ত্রী যখন তালাকের শব্দ শুনে নিয়েছে, তাই স্ত্রীর উপর ওয়াজিব স্বামীর সাথে সহবাসে লিপ্ত না হওয়া। 

স্বামী যদি অস্বীকার করে, তাহলে স্ত্রীকে প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলা হবে।যদি স্ত্রী ব্যর্থ হয়, তাহলে স্বামীকে কসম খাইতে বলা হবে।যদি স্বামী কসম করে নেয়, তাহলে স্ত্রী ঐ স্বামীর সাথে সংসার করতে পারবে। স্বামী মিথ্যা বললে, গোনাহ কিন্তু স্বামীরই হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
তালাকের প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাক্ষী রাখা উত্তম। যেন পরবর্তীতে কোনো সমস্যা না হয়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

তবে কখনো যদি স্বাক্ষী না রাখা হয় এবং স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করে তাহলে আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
,
কিন্তু দিয়ানাতান তথা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। 

★কাজেই এখন প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের  করণীয় হল, স্বামীর কাছ থেকে খোলা তালাক নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। যদি এতেও স্বামী রাজি না হয় এবং বাধ্য হয়ে আপনার তার সাথে থাকতে হয় তাহলে আপনি গুনাহগার না হলেও আপনার স্বামী যিনার গুনাহে গুনাহগার হবে।
(রদ্দুল মুহতার ৪/৪৬৩ অবলম্বনে )

★স্ত্রীকে গর্ভবতী অবস্থায় তালাক দিলে তা কার্যকর হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★তালাক প্রদানের পর ইদ্দত তথা তিন হায়েজ অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী সেই স্বামীর বাসাতেই থাকবে।
সেখানে উদ্দতকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থানের দায়িত্ব স্বামীর থাকবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...