আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম
প্রশ্ন ১ঃ আমার এক ফ্রেন্ড সে বললো সে শুরু সূরা ফালাক আর নাস দিয়ে সব ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে।

যদিও সে অন্য সূরাগুলো জানে, তারপর ও এই দুইটি সূরা দিয়ে পড়ে। নামাজ কবুল হয়ে যাবে? আর কবুল হলেও কি সাওয়াব কমে যাবে?

প্রশ্ন ২ঃ বাচ্চাদের কপালে কালো টিপ পড়ানোর বদলে যদি আল্লাহ লিখে রাখা হয় তাহলে কি সেটা করা যাবে?
প্রশ্ন ৩ঃ আমি এই রমজানে নিয়ত করেছিলাম ইতিকাফে বসবো, কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর করা হয় নিহ।

আর আমার যে কয়টা ফরজ রোজা ভাঙ্গা পড়েছিলো সে কয়টা আমি আদায় করে ফেলেছি আলহামদুলিল্লাহ।  এখন সামনে আরাফাহ দিনের রোজার সাথে মিলিয়ে কি আমি ইতিকাফে বসতে পারবো? আর যেহেতু আমার রোজা কাজা আদায় করা শেষ তাহলে আমি কিভাবে ইতিকাফে বসবো? রোজা ছাড়া বসা যাবে?

প্রশ্ন ৪ঃ আরাফার দিনে রোজা আসলে আমাদের কোনদিন রাখা উচিত?  মক্কার সাথে মিলিয়ে নাকি বাংলাদেশে যেদিন ৯ জিলহজ্জ সেদিন

যদি মক্কার সাথে মিলিয়ে রোজা রাখি তাহলে অনেকেই প্রশ্ন করে যে তাহলে রোজা বা ইদের সময় কেনো একসাথে রাখি নাহ, তাদের কিভাবে জবাব দেয়া উচিত?

1 Answer

0 votes
by (707,880 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অন্যান্য সূরা জানা সত্বেও শুধুমাত্র দুইটি সূরা দিয়ে সমস্ত নামায পড়া কখনো উচিৎ হবে না।বরং মাকরুহ হবে।হ্যা নামায হয়ে যাবে, তবে সওয়াবে অবশ্যই তারতম্য থাকবে।
নামাযে রাসূলুল্লাহ সাঃ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কিরাত পড়েছেন।নামাযের মাসনুন কেরাত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/117

(২)
বাচ্চাদের কপালে কালো টিপ পড়ানোর বদলে আল্লাহ লিখে যাবে না। অতীতে এমনটা কেউ করেনি।

(৩)
ইতিকাফ সুন্নত। আর সুন্নতের কোনো কাযা নাই। সুতরাং আরাফার রোযার সাথে বা অন্য কোনো রোযার সাথে ইতিকাফ করার কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই।হ্যা, যদি কেউ ইতিকাফের মান্নত করে থাকে, আর মান্নত পূর্ণ করা ওয়াজিব।তখন সে রোযা রেখে ইতিকাফে বসবে।

(৪)
বাংলাদেশের যে দিন আরাফা হবে, সেইদিন আরাফার রোযা রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...