আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
reshown by

  প্রশ্ন (১)

আসসালামু আলাইকুম। যদি কোন বেক্তি তার ইস্ত্রির কোন একটি কাজ পছন্দ  করে  না এবং  সেই  কাজের নামটি উচচারন না করে শুধু ঐ কাজের দিকে ইংগিত করে (স্ত্রীরি বুঝতে পেরেছিল  কোন কাজের দিকে ইংগিত করে বলছে) ভয় দেখানোর জন্য অন্য কোন বাক্য বলার নিয়তে না শুধু মাত্র ভয়মুলক  বাক্য বলার নিয়তে বলে যে, "এমন কাজ করো না,যে কাজ করলে সম্পর্ক খানখান হয়ে না যায়"। ভাষার ব্যাকরণ গত ভুল হওয়ায় বিপরীত অর্থ আসে যে, "এমন কাজ করো যে কাজ করলে  সম্পর্ক খান খান হয়ে যায়"। এতে তাঁর স্ত্রীর উপর কোন কিছু হবে কি? বলার সময় সে বুঝতে পারে নাই যে তার অর্থ টা ভুল হচ্ছে। বলার সময় তার মনে বিচ্ছেদমুলক বাক্য কিংবা শর্তমূলক বাক্য কিংবা খমতা অরপন মূলক  বাক্য বলার নিয়ত ছিল না। একটি বলতে গিয়ে অন্যটি হয়তো হয়েছে। হুজুর দয়া করে জানাবেন।এতে তার ইস্ত্রির উপর ক্ষমতা অর্পণ কিংবা শর্তমূলক কিংবা   তা.....    পতিত  হবে কি?
আপনি  উওর  দিয়েছেন  যে, "এমন কাজ করো না,যে কাজ করলে সম্পর্ক খানখান হয়ে না যায়"।

যেহেতু একথা বলার দ্বারা স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলনা বা তালাকের অধিকার প্রদানের নিয়ত ছিলনা, তাই স্ত্রী তালাকও হবে না এবং স্ত্রীর তালাকের অধিকারও অর্জিত হবে না।

বিঃদ্রঃ উপরে  বরনিত, 

    যদি  কোন  বেক্তি  তার  ইস্ত্রির "কোন  একটি  কাজ পছন্দ  করে  না এবং  ঐ কাজের নাম উচ্চারণ  না করে শুধু ঐ  কাজের দিকে "ইংগিত" করে শুধুমাত্ত  ভয়মুলক বাক্য বলার নিয়তে এছাড়া অন্ন কোন বাক্যে বলার নিয়তে  না।আর ইস্ত্রি  বুঝতে পারছিল তার সামী কোন কাজের কথা বলছে।আর একটি  বিষয়  হচ্ছে, ভাষার ব্যাকারনগত ভুল হওয়ায় বিপরীত অর্থ যদি আসে " এমন  কাজ কর যে কাজ করলে  সম্পর্ক  খানখান হয়ে  যায় " এখন জানতে চাচছি তাহলে স্ত্রীর উপর শর্তমুলক (তা.....) কিংবা ক্ষমতা অর্পণ মুলক পতিত হবে  কি? যদি পতিত না হয় তাহলে  কারনটা বোঝায়ে দিবেন একটু কষ্ট  করে।

প্রশ্ন (২) যদি কোন  বেক্তি  তার  ইস্ত্রিকে বিচ্ছেদের  নিয়ত ছাড়া যদি বলে  "সংসার চলবে না" তাহলে কি কোন কিছু  পতিত হবে? আর এটি  কি কেনেয়া বাক্য? 

 প্রশ্ন (৩) আমার এক ভাই জানতে চাচ্ছে যে,
"বৈবাহিক সম্পর্ক ছেড়ে দেই নাই" বলতে গিয়ে
ভাষার ব্যাকরণ গত ভুল বাবহারে বিপরীত অর্থ যদি "বৈবাহিক সম্পর্ক
ছেড়ে দিয়েছি" অর্থ হয় তাহলে কি হবে
জানাবেন। আসলে তিনি বলার সময়  বুঝতে পারে নাই যে, অর্থতা ভুল হবে তিনি বলার সময় মনে করছিলেন তিনি সঠিক বলতিছেন। জাজাকাল্লাহ। 

by (696,520 points)
আপনার সাথে ফোনে কথা বলা প্রয়োজন।

1 Answer

0 votes
by (696,520 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না। সুতরাং তালাকের অপছন্দকারী ব্যক্তির তালাক শব্দ বলার দ্বারা তালাক হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)

لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
যদি স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাকের মাস'আলা মাসাঈলকে বারংবার বলা হয়, যেমন স্বামী বলল, তুমি তালাক,এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীকের তালাকের উদ্দেশ্য নেই, তাহলে স্ত্রী তালাক হবে না।(ফাতহুল কাদির-৪/৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেখানে আপনি নিজেই বলছেন যে, তালাকের নিয়ত ছিলনা বরং ভয় প্রদর্শনের নিয়ত ছিল, সুতরাং তালাক হওয়ার প্রশ্নই আসে না। ব্যাকরণগত কারণে অর্থ যাই হোক। স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকতে হবে।নতুবা তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...