আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
যত হারাম কাজ আছে সুদ জিনা চুরি ইত্যাদি সবই তো হারাম । যদি কেউ এসব গুনাহের কাজ শিখায়, যদিও সে নিয়ত করে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য । কিন্তু এমন মানুষ কে শিখানো হয় , যাদের  দ্বারা আশাকরা যাবে না যে তারা সুদ থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ তাদের মধ্যে হিদায়েত নেই , তাদের অধিকাংশ সলাত আদায় করে না। অর্থাৎ যে একাউন্টিং সাবজেক্ট শিক্ষা দেই যেখানে সুদের অংক শিখানো হয়, তার ব্যাপারে হুকুম কি ? তার অর্থ কি হালাল হবে? তার খবর কি খাওয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (676,160 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ جَابِرٍ قَالَ : لَعَنَ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ أَكَلَ الرِّبَا وَمُوَكِلَه وَكَاتِبَه وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ : «هُمْ سَوَاءٌ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নাত করেছেন, যে ব্যক্তি সুদ খায়, যে সুদ দেয়, যে সুদের কাগজপত্র লিখে, যে দু’জন সুদের সাক্ষী হয় তাদের সকলের ওপর। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেছেন, (গুনাহের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে) তারা সকলেই সমান।
(মুসলিম ১৫৪৯, সহীহ আত্ তারগীব ১৮৪৭।)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,  

 هُمْ سَوَاءٌ ‘‘তারা সকলেই সমান’’ অর্থাৎ সুদগ্রহীতা, সুদদাতা, এর লেখক এবং সাক্ষী- এরা সকলেই পাপের সমান ভাগীদার। ‘আল্লামা নববী বলেনঃ এতে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় যে, সুদ আদান প্রদান যেমন হারাম, অনুরূপভাবে সুদের চুক্তি লেখা এবং এর সাক্ষী দেয়া উভয়ই হারাম।
 (শারহে মুসলিম ১১/১২ খন্ড, হাঃ ১৫৯৯; মিরকাতুল মাফাতীহ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,  
https://ifatwa.info/22022/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে 
যদি সুদী অংক পাঠদানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সুদকে হারাম জানে ও মানে এবং সুদ হারাম হওয়াকে অকাট্যভাবে বিশ্বাস করে, তাহলে সুদী হিসাবের অংক শিক্ষা দেওয়া এবং শিক্ষা গ্রহণ করা কোনোটাই নাজায়েয হবে না। বরং তখন বুঝা যাবে যে, এদ্ধারা সুদের মধ্যে যে ক্ষয়ক্ষতি রয়েছে, সেই সম্পর্কে জানা। এবং উক্ত জ্ঞানকে শরীয়ত সমর্থিত কোনো কাজে ব্যায় করা। কেননা বর্তমানে প্রত্যেকটা প্রতিষ্টান ও অফিস এই অংকর উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া সুদের অপকারিতা এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে হলে এই সুদী অংক জানা মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।  

সুতরাং বলা যায় যে, সুদি অংক শিক্ষা দেওয়া যাবে এবং বেতনও হালাল হবে। তবে এর পূর্বে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর আকিদা বিশ্বাস ঠিক থাকতে হবে। এবং হারাম হওয়ার প্রতি পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস থাকতে হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে ব্যাক্তি সূদকে হারাম জেনে যে একাউন্টিং সাবজেক্ট শিক্ষা দেয়, যেখানে সুদের অংক শিখানো হয়, তার ব্যাপারে হুকুম হলো সে সূদকে হারাম জানবে ও শিক্ষার্থীদেরকেও জানাবে যে সূদ হারাম।
ঐ শিক্ষকের অর্থ হালাল হবে।
তার খাবার খাওয়া যাবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...