আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমার বিয়ের হয় ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল।
২০২০ এর ৪ এপ্রিল, আমার আহলিয়া যেই পরিমাণ স্বর্ণের মালিক হয় তার মূল্য (বিক্রয়মূল্য,যাকাত যেভাবে হিসাব করি সেভাবে), ৭,০৫,১৩৮ ৭ লক্ষ ৫ হাজার ১শত ৩৮ টাকা।

প্রশ্ন ১. ২০২০ সালের হজে একজন মেয়ের মিনিমাম কি পরিমাণ টাকা থাকলে হজ ফরজ হবার কথা ছিল? আমার আহলিয়ার উপর হজ ফরজ কিনা?  (যেহেতু মাহরামসহ খরচ লাগবে মেয়েদের)
২০২১ সালের যাকাতের হিসেবে আমার আহলিয়ার মালিকানায় থাকা স্বর্ণের বিক্রয়মূল্য + নগদ টাকা মিলে  হয় (৮,৪৭,৯০৯+১৮৩৭)= ৮,৪৯,৭৪৬ টাকা।

প্রশ্ন ২. ২০২১ সালে মিনিমাম কত টাকা থাকলে একজন মেয়ের উপর হজ ফরজ হত?


ফাইনালি আমার আহলিয়ার উপর হজ কি ফরজ?  ফরজ হয়ে থাকলে কিভাবে বিস্তারিত সেই হিসেব টা বুঝিয়ে দিলে উপরকার হয় মুফতি সাব।


জা ঝা কুমুল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 

হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।

সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা আবশ্যক।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে এরশাদ করেনঃ   
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
 (তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
,

★ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ   
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্জ করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)

হজ্জ যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্জ বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্জ আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
,

মহিলাদের উপর হজ্বঃ

দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে এবং সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকলে ঐ মহিলার উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।

স্বামী উভয়ের খরচ বহনে সক্ষম হ’লেই স্ত্রীর উপর হজ্জ ফরয হয় না।

বরং স্ত্রীর যদি নিজ মালিকানায় হজ ফরজ হওয়ার মতো সম্পদ থাকে,তাহলে তার উপর হজ ফরজ হবে।

নারীদের সাথে মাহরাম ব্যক্তি থাকা অপরিহার্য।
মাহরাম সাথে না থাকলে হজে যাওয়া জায়েজ নেই।

যদি কোনো মাহরাম হজে যাওয়ার মতো না থাকে,সেক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষকে হজে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ থাকা উক্ত মহিলার উপর হজ্ব ফরজ হওয়ার শর্ত বলে বিবেচিত হবে।
নতুবা হজ্ব আদায় করবেনা।

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/21183/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
২০২০ সাল ও ২০২১ সালে হজ্বের প্যাকেজ মিনিমাম সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে ছিলো।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত টাকা যদি আপনার আহলিয়ার দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা হয়,সেক্ষেত্রে ঐ টাকায় যেহেতু সেই সময়ে মাহরাম পুরুষকে নিয়ে যাওয়া যেতো,তাই তার উপর হজ্জ ফরজ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (675,600 points)

২০২০ সালে সরকারী ভাবে হজের প্যাকেজ-(১) ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, প্যাকেজ-(২) ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। আর প্রথমবারের মতো প্যাকেজ-(৩) করা হয়েছে। এ প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

২০১৯ সালে এ খরচ ছিলো যথাক্রমে (প্যাকেজ-১) ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা ও (প্যাকেজ-২) ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

https://hajj.gov.bd/bn/haj_package_2020/

https://www.google.com/amp/s/barta24.com/amp/details/islam/78486/hajj-new-package--cost-increase-on-the-remaining-two

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 99 views
0 votes
1 answer 77 views
...