আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in পবিত্রতা (Purity) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.দুপুরে নিষিদ্ধ সময় কয় টায়?? আমি ফজরের কাজা নামাজ সকাল ১১ঃ৪৫ এর আগে পড়েছি।আমার নামাজ কি হবে??
২.নামাজে একাধিক সন্দেহ হলে যেমনঃ সিজদা সংখ্যা আর রাকাত সংখ্যা নিয়ে এক সাথে সন্দেহে পড়লে করণীয় কি??
৩.

ক)শুনেছি এক দিরহাম পরিমাণ  মানে ৫ টাকার কয়েনের সমান নাপাকি নাকি মাফ যোগ্য। এটা কখন প্রযোজ্য???

খ)অনেক সময় বাথ রুমে ইস্তিঞ্জার সময় নাপাক পানি ছিটে আসলে সেটা ৫ টাকার কয়েনের সমান হলে মাফ যোগ্য নাকি গোসল করতে হবে??

গ) যেকোনো নাপাকি ৫ টাকার কয়েনের সমান হলে মাফ যোগ্য নাকি নাপাকির মধ্যে ধরণ আছে?  যদি থাকে তাহলে সেগুলো কি কি??


৪.সাদাশ্রাব পাজামায় লাগার পরে ভালো করে ধুয়ার পরেও অনেক সময় শুকানোর পরে দেখি সাদা সাদা কিছু দেখা যাচ্ছে।এক্ষেত্রে সে পাজামা আবার ধুতে হবে নাকি সেটা দিয়েই নামাজ হবে??
৫.একজন বড় পুরুষ  মানুষ। বিবাহিত তিনি।এক্সিডেন্টলি রাতে ঘুমের মধ্যে  বিছানায় প্রসাব করে ফেলেছেন। অনেক ভারী এবং বড় তোষক ভিজে গিয়েছে। এই তোষক ধোয়া ছাড়া পাক করার উপায় কি???

1 Answer

0 votes
by (677,400 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ঢাকার সময় অনুযায়ী দুপুরে নিষিদ্ধ সময় ১২;০৯ থেকে ১২;১৪। 

এক্ষেত্রে আপনি ঢাকার বাহিরের কোনো জেলার হলে সেই জেলার টাইম ধর্তব্য হবে।
,
তবে দেশের সব জেলা অনুপাতে আজকের টাইম হিসেবে আপনার নামাজ আদায় হবে।

সমস্যা হয়নি।


(০২)
এক্ষেত্রে আপনি মূল সন্দেহ তথা রাকাতের সন্দেহকে ধরবেন।

প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
প্রবল ধারনা না হলে কম সংখ্যক রাকাতকে ধরে নিয়ে পুনরায় সেই রাকাত আদায় করে শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন। 

(০৩)
ক,
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি নাপাকির পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া হলে সেই নামাজ জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া হলে সেই নামাজ জায়েজ হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة رضي الله عنه  عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

খ,
বাথ রুমে ইস্তিঞ্জার সময় নাপাক পানি ছিটে আসলে সেটা ৫ টাকার কয়েনের সমান হলে মাফ যোগ্য নয়। এক্ষেত্রে সেই স্থান ধুয়ে নিতে হবে।

এর কম হলে মাফ হবে।

গ,
এক দিরহাম নির্দিষ্ট করার সূরত হল, হাতের তালু সোজা করে রেখে তার উপর এক ফোটা পানি ফেলা, হাত নড়ানো বা কাত করা ছাড়া যতটুকু স্থান পরিব্যপ্ত হবে ততটুকুই হল এক দিরহামের আয়তন। 
,
এতটুকু পরিমাণ তরল গলীজ নাপাক হলে উক্ত কাপড়সহ নামায আদায় জায়েজ হবে।

আর যদি গলীজ নাপাকটি শক্ত হয় , তাহলে এক দিরহামের ওজন পরিমাণসহ নামায আদায় জায়েজ হবে। এক দিরহামের ওজনের পরিমান বর্তমানে প্রায় তিন গ্রাম। {কানযুদ দাকায়েকের টিকা-১৫-১৬}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
এক্ষেত্রে সেটি যদি দাগ হয়ে থাকে,আর আপনি যদি সেই কাপড় তিনবার ধুয়ে থাকেন,এবং প্রত্যেক বার নিংড়িয়ে নিয়েও থাকেন,তাহলে সেটি পাক।

আর যদি সেটি দাগ না হয়ে থাকে,বরং সেটি সাদা স্রাবই হয়ে থাকে।
তাহলে এটি পাক হয়নি,আবারো পাক করতে হবে। 

(০৫)
ধোয়া ছাড়া এক্ষেত্রে পাক করার উপায় নেই।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 111 views
0 votes
1 answer 91 views
...