আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। 

প্রশ্ন (১) কম্পিউটারে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির সময় কিছু শব্দ প্রয়োজনে "cut" অথবা "paste" করতে হয়।
যদি কোন ব্যক্তি কম্পিউটারে কোন কাজ করার সময় কোন শব্দ "cut" করার জন্য right button click করার পর "cut"শব্দ দেখে তার মনে যদি  (তা...) এর কথা মনে আসে এবং তার স্ত্রীর চেহারা যদি তার মনে খেয়ালে আসে আর ওই সময়েই যদি " cut" শব্দটির উপর click করে কিন্তু  তার যদি (তা...) এর  নিয়ত না থাকে তাহলে তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবে কি? যদি কোন কিছু পতিত  না হয় তাহলে তার কারনটা দয়া করে জানাবেন। 

প্রশ্ন (২)   যদি কোন ব্যক্তি কম্পিউটারে কোন কাজ করার সময় কোন শব্দ "cut" করার জন্য right button click করার পর "cut"শব্দ দেখে তার মনে যদি  (তা...) এর কথা মনে আসে এবং তার স্ত্রীর চেহারা যদি তার মনে খেয়ালে আসে আর ওই সময়েই যদি কোন বেক্তি (তা...) এর  নিয়ত করে " cut" শব্দের উপর  click করে তাহলে কি তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবে  কি?যদি কোন কিছু পতিত  না হয় তাহলে তার কারনটা দয়া করে জানাবেন। 

প্রশ্ন (৩) আমরা সারাদিন মানুষের সাথে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকি কিন্তু কথা বলার সময় চিন্তা ভাবনা না করেই অনেক সময় কথা বলি। তাই কোন মানুষ  যদি না বুঝেই কোন কুফরি কিংবা  শিরকী কথা বলার পর মুহুর্তেই যদি বুঝতে  পারে যে, সে এই ধরনের কোন কথা বলে ফেলেছে পরে সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলো। তাহলে আল্লাহ তো তাকে ক্ষমা করবেন। কিন্তু  প্রশ্ন  হলো যদি কেও না বুঝে ঐ ধরনের কোন কথা বলে ফেলে তাহলে সে কি ক্ষমা চাওয়ার আগে মুরতাদ হয়ে গিয়েছলো কি? কারনটা দয়া করে জানাবেন। 

প্রশ্ন (৪)আমরা জানি গায়েবি বিষয় আল্লাহ ও তার রাসুলগন ছাড়া  আর কেহ জানে না। এখন প্রশ্ন মানুষ অনেক সময় অনেক কাজের ক্ষেত্রে কিংবা কোন বিষয়ে কথা বলার সময় ইনশাআল্লাহ শব্দটি ইচ্ছাকৃতভাবে না বলে যদি কোন বেক্তি বলে অমুক কাজ হবে কিংবা করতে পারবো এভাবে বললে সেই বেক্তি কি মুরতাদ হয়ে যাবে? কিন্তু সেই বেক্তি যদি বিশ্বাস করে সব কিছুই  আল্লাহর  ইচ্ছা।

প্রশ্ন (৫)মনে করুন কোন বেক্তি হাদিস পরতিছিলো সেই সময় হটাৎ করে তার মনে একটি পাপ কাজ করার ইচ্ছে মনে জাগলো আর সেই সময়ে ঐ পাপ না করলে অন্য সময়ে করতে পারবে না তাই  ঐ বেক্তি যদি পাপ কাজটি করে তাহলে সে কি ইসলামের বেপারে গুরুত্ব না দেওয়ায় মুরতাদ হয়ে গিয়েছে কি?

★হুজুর অনুরোধ করছি দয়া করে প্রশ্নের ক্রমঅনুযায়ী উত্তর দিবেন। আসসালামু আলাইকুম। 

1 Answer

0 votes
by (682,160 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক পতিত হবেনা।
কেননা সে এখানে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মুখে কোনো তালাক শব্দই বলেনি।

(০২)
এক্ষেত্রেও তালাক পতিত হবেনা।
কেননা সে এখানেও স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মুখে কোনো তালাক শব্দই বলেনি।

(০৩)
সে ক্ষমা চাওয়ার কারনে মুরতাদ হয়ে যায়নি।
ক্ষমা চাওয়াত দরুন তো গুনাহ মাফ হয়েছে,এর দরুন মুরতাদ হবে কেন?

বস্তুত এখানে না জেনে না বুঝে কুফরি বা শিরকী কথা বলায় তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
যদি কেহ বলে যে অমুক কাজ হবে কিংবা করতে পারবো এভাবে বললে সেই ব্যাক্তি মুরতাদ হয়ে যাবেনা।

উল্লেখ্য, গায়েবের বিষয় রাসুলুল্লাহ সাঃ জানেননা।
এটি শুধুমাত্র আল্লাহই জানেন।

(০৫)
সেই ব্যাক্তি যদি পাপ কাজটি করে তাহলে সে ইসলামের ব্যপারে গুরুত্ব না দেওয়ায় মুরতাদ হয়ে যায়নি।

এতে শুধু সেই পাপ কাজ করার গুনাহ হবে,আর কিছুই নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...