আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আমার স্বামী আলহামদুলিল্লাহ প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিম। যে সকল ফরয ইবাদাত পালন করে এবং কোন কবীরা গুনাহে লিপ্ত নয়।  কিন্তু নফল সুন্নত পালনে তার তেমন কোন আগ্রহ নেই।  যেমন সাপ্তাহিক রোযা, আইয়মে বীদের রোযা, বা শাবান মাসের রোযা, কুরআন পড়া এসব ব্যাপারে সে কোন গুরুত্ব দেয়না। প্রবলেম হলো তাকে এসব ব্যাপারে নাসীহা করলে রেগে যায় এবং সংসারে অশান্তি হয়। সে বলে, "তুমি তোমার মতো এগুলা করো, আমাকে চাপাচাপি করবেনা, আমি তো কোন হারাম করছি না।" উল্লেখ্য,  আমরা আগে প্র‍্যাক্টিসিং ছিলাম না, লাস্ট ৬/৭ বছর ধরে আমরা আল্লাহর রহমতে হেদায়েত পেয়ে দ্বীনের পথে এসেছি।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে চাই,  সে কুরআন খুব ভুল পড়ে। মানে মাখরাজ একদমই ঠিক নেই। নামাযেও এভাবে পড়ে, সেই ছোটবেলায় যেভাবে শিখেছিলো, সেই ভুলগুলো দিয়েই নামায পড়ে, যেগুলা লাহানে জলি হয়। আমি অনেক অনেকবার চেষ্টা করেছি, বলেছি আমি সাহায্য করবো একটু মাখরাজ গুলো ঠিক করো। করেনি। এমনকি কুরআন শুদ্ধ করার অনলাইন ক্লাসে ভর্তি করিয়ে দিলেও ঠিকমতো ক্লাস করেনা। আমি তার ইমামতিতে নামায পড়ি প্রায়ই, সেখানেও সূরা পড়ায় অনেক ভুল থাকে মাখরাজে, নামায শেষে সেটা বললেও রেগে যায়। এভাবে কি তার নামায হচ্ছে?
সে যেহেতু আমার স্বামী, আমি খুব চাই সে দ্বীনের পথে সুন্দরভাবে চলুক। নানাভাবে চেষ্টা করি, কিন্তু আমি নাসীহা বা দ্বীনের দাওয়াত দিতে গেলে প্রবলেমই বেশি হয়, সংসারে অশান্তি হয়। এ ব্যাপারে আমি কিভাবে কি করতে পারি, প্লিজ আমাকে পরামর্শ দিবেন। খুব মানসিক কষ্ট পাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/26028/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
ইমামের তিলাওয়াত শুদ্ধ হতে হবে।
কেননা তার নামাজের উপরেই সকলের নামাজের শুদ্ধতা নির্ভর করে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)

★শরীয়তের বিধান হলো কুরআনে কারীম শুদ্ধ করে পড়তে পারে এমন ব্যক্তি অশুদ্ধ তিলাওয়াত কারী ইমামের পিছনে নামায পড়লে তার নামায হয় না। 

فى الفتاوى الهندية – ولا يصح اقتداء القارئ بالأمي وبالأخرس
কিরাত বিশুদ্ধ এমন ব্যক্তির নামায কেরাত অশুদ্ধ এমন ব্যক্তির পিছনে শুদ্ধ হয় না। 
(ফাতাওয়া শামী- ২/৩২৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
আপনার স্বামীর যেহেতু কিরাআত শুদ্ধ নয়,আর আপনার কিরাআত শুদ্ধ, সুতরাং আপনার স্বামীর পিছনে আপনার নামাজ হবেনা।
এ জন্য তার কিরাআত শুদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে নিয়ে জামাতে আর নামাজ পড়বেননা।

কিরাআত শুদ্ধ করা ফরজ,তদুপরি আপনার স্বামী যেভাবে নামাজ পড়ছে,তার নামাজ আদায় হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু আপনার স্বামীর উপর যেহেতু কিরাআত শুদ্ধ করা ফরজ,তাই তাকে সুরা ফাতেহা এবং কমপক্ষে আর চারটি সূরা শুদ্ধ ভাবে মাখরাজ সহকারে শিখাবেন।
প্রয়োজনে তাকে বুঝিয়ে তাবলিগে তিন দিনের জন্য পাঠাবেন।

আপনি আপনার জায়গা থেকে চেষ্টা করবেন,সে না মানলে এটি তার ব্যপার,আপনার চেষ্টা আপনি করে যাবেন।
তিনি এই বিষয় নিয়ে আর কথা বলতে নিষেধ করলে আপাতত আর বলবেননা।

সাপ্তাহিক রোযা, আইয়মে বীযের রোযা, বা শাবান মাসের রোযা এসব নফল ইবাদতের প্রতি স্বামীকে আর কিছুই না বলার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...