আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম।

প্রশ্ন:১:

আমি টয়লেট করার পর মলদ্বার হ্যান্ডওয়াশ ও পানি দিয়ে ধুই। কারন এছাড়া আমার মনে হয় যে, শুধু পানি দিয়ে ধুলে ঠিক মত পরিষ্কার হয়না।
আমার কাছে মনে হয় যে কিছুটা তেলতেলে ভাব থেকে যায়।

এখন রোজায় আমার একটা সমস্যা হচ্ছে।
টয়লেটের সময় প্রেশার দেওয়ার কারনে  মলদ্বারের ফুটা টা খুলে এবং একটু বড় হয় এবং তারপর সেটা ধোয়ার জন্য হ্যান্ডওয়াশ বা পানি দিয়ে ধুতে গেলে মনে হয় যে, কিছু পানি ভিতরে ঢুকে যাবে।

আর অন্য দিকে কম পানি ব্যবহার করলে মনে হয় যে, সঠিকভাবে পরিষ্কার হয়না। তাই বেশি পানি ব্যবহার করা লাগে।

এর কারনে পানি কমও ব্যবহার করতে পারছি না আবার পানি ও হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করলে মনে হচ্ছে যে কিছু পানি ভিতরে ঢুকে যাবে বা যায়।

(### কারন: মলদ্বার দিয়ে প্রেশার দেওয়ার ফলে মলদ্বারের ফুটা #বড় হয় এবং পানি ঢালার পর প্রেশার ছেড়ে দিলে ফুটা #ছোট হয়ে যায়। ★★ এবং সেই সময় মনে হয় যে ফুটা ছোট হয়ে গেলে কিছু পানি ভিতরে ঢুকে যেতেই পারে।

এখন কি করবো কিছুই বুঝতেছি না। কি করা উচিত?

 

প্রশ্ন:২:

আমি যদি প্রস্রাব করার পর প্রস্রাবের নলের ভিতর পরিষ্কার করার জন্য প্রস্রাবের নলের ফুটা দিয়ে কয়েকবার করে বদনা দিয়ে পানি দেই, এরপর টিস্যু ভাজ করে প্রস্রাবের নলের ফুটা মুছি, তাহলে কি আমার রোজা ভেংগে যাবে?

(বিদ্র: ## এরকম করার কারণ হচ্ছে, প্রস্রাব করার পর প্রথমে টিস্যু ব্যবহার করতে গেলে আমার খালি মনে হয় যে টিস্যুটা ভিজে আমার হাতে লেগেছে কি লাগে নাই এরকম সন্দেহ হয়।

(তাই সেই হাত দিয়ে আমি আবার কল ছাড়তে পারি না)

তাই আমি প্রস্রাবের নলের ফুটো দিয়ে বদনা দিয়ে কয়েকবার পানি দেই এবং তারপর টিস্যু দিয়ে সেইটা মুছি। ★যাতে করে প্রথম পানি ঢালার ফলে নাপাক ধুয়ে যায় এবং পরে টিস্যু ব্যবহার করে সেটা মুছে ফেলা হয়।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এছাড়া কি অন্য কোন উপায় আছে? যাতে আমার সন্দেহটা দূর হয়ে যায়? (যেহেতু আমি যদি টিসু প্রথমে ব্যবহার করতে চাই তাহল  সেই হাত দিয়ে আমি আবার কল ছাড়তে পারি না)

 

প্রশ্ন:৩:

মসজিদে ঢোকার সময় অনেক সময় দেখা যায় যে, কিছু ছোট বাচ্চা টয়লেট বা ওয়াশরুম বা প্রস্রাবখানা ব্যবহার করে ভিজা পায়ে মসজিদে ঘোরাঘুরি করছে। তাই আমার কাছে কিছুটা সন্দেহ লাগে যে  বাচ্চা গুলো আসলেই ঠিকমতো পবিত্রতা অর্জন করেছে কিনা। সাধারণত ৮ থেকে ১০ বা ১২ বছরের মধ্যে অনেক বাচ্চারা প্রস্রাব বা পায়খানা করার পর সঠিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করেনা। ❗➡️ টিস্যু ও ব্যবহার করে না । 

এবং ভিজা পায়ে মসজিদে ঘোরাঘুরি করে।পাপোশে পা মুছে। ➡️ এর কারণে আমার কাছে মনে হয় যে, তারা যদি সঠিকভাবে পবিত্রতা অর্জন না করে এবং তাদের ভিজা পায়ে যদি নাপাক থাকে। তাহলে তো মসজিদ নাপাক হয়ে যাবে। সমস্যা হচ্ছে: ⬇️⬇️⬇️

❗ এখন আমার সমস্যা হচ্ছে মসজিদের সেই সকল জায়গায় আমার পা দিতে অস্বস্তি লাগে। ❗

##কিন্তু মসজিদে তো আর লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটা যায় না। মসজিদের বেশিরভাগ মানুষ হয়তো এগুলো নিয়ে ভাবেই না।

★কিন্তু ওয়াসওয়াসার কারণে এগুলো নিয়ে আমার অনেক ভাবা লাগে। 

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে সেই সব বাচ্চারা ওয়াশরুমের মধ্যে কি করে আমি তো তা জানি না। 

এখন আমি কি সেই বাচ্চাদের ভিজা পায়ে চলাফেরার স্থান পাক ধরবো নাকি নাপাক ধরবো?###(বড় মানুষ হলে তাও মানা যায় ওরা তো বাচ্চা, তাই সন্দেহ আরো অনেক বেশি বেড়ে যায়)

➡️(এত মানুষের মধ্যে তখন তো আর মসজিদের ফ্লোর ধোয়া সম্ভবও না)

বি:দ্র: যদি নাপাক ধরা হয়, তাহলে কি করবো? অন্য মসজিদে যেয়ে নামাজ পরবো?

 

প্রশ্ন:৪:

রোজার সময় ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হলে, সেই রক্ত মুছে ফেলার পর আবার সামান্য পরিমান বা একদম অনেক অল্প বের হলে সেই অল্প রক্তটুকু গিলে ফেললে কি রোজা ভেংগে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি রোযা অবস্থায় পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিন।

আপনি টয়লেট করার পর তিনবার টিস্যু ব্যবহার করে নাপাক স্থান মুছে ফেলে দিবেন।
এরপর দ্রুত অল্প পানি ব্যবহার করে চলে আসবেন।
বেশি পানি ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।

(০২)
এক্ষেত্রে পেশাবের রাস্তার মধ্য দিয়ে পানি ভিতরে চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। 

তাই আপনি টিস্যু ব্যবহার করে শুধু পানি ঢেলে দিবেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত পন্থা পরিহার করবেন।

(০৩)
আপনি সেই বাচ্চাদের ভিজা পায়ে চলাফেরার স্থান পাক ধরবেন।

(০৪)
রোযা বলা হয়,রোযার নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে  নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত খাওয়া,পানাহার,সহবাস থেকে বিরত থাকা।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 وَ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا حَتّٰی یَتَبَیَّنَ لَکُمُ الۡخَیۡطُ الۡاَبۡیَضُ مِنَ الۡخَیۡطِ الۡاَسۡوَدِ مِنَ الۡفَجۡرِ۪ ثُمَّ اَتِمُّوا الصِّیَامَ اِلَی الَّیۡلِ ۚ وَ لَا تُبَاشِرُوۡہُنَّ وَ اَنۡتُمۡ عٰکِفُوۡنَ ۙ فِی الۡمَسٰجِدِ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ فَلَا تَقۡرَبُوۡہَا ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ اٰیٰتِہٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّہُمۡ یَتَّقُوۡنَ ﴿۱۸۷﴾

আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কালোরেখা থেকে উষার সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রকাশ না হয়। তারপর রাতের আগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের সাথে সংগত হয়ো না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই এগুলোর নিকটবর্তী হয়ে না। এভাবে আল্লাহ তার আয়াতসমূহ মানুষদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা তাকওয়ার অধিকারী হতে পারে।
(সুরা বাকারা ১৮৭)

কুদুরী গ্রন্থে আছেঃ 
والصوم هو الإمساك عن الأكل والشرب والجماع نهارا مع النية ۔ (کتاب الصوم )
সারমর্মঃ
রোযা বলা হয়,রোযার নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে  নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত খাওয়া,পানাহার,সহবাস থেকে বিরত থাকা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে সেই অল্প রক্তটুকু গিলে ফেললে  রোজা ভেংগে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (31 points)
(২) এর উত্তরে:
এরকম করার কারণ হচ্ছে, প্রস্রাব করার পর প্রথমে টিস্যু ব্যবহার করতে গেলে আমার খালি মনে হয় যে টিস্যুটা ভিজে আমার হাতে লেগেছে কি লাগে নাই এরকম সন্দেহ হয়।
তখন সেই হাত দিয়ে বদনা বা কল ধরতে পারি না।
by (677,280 points)
আপনি টিস্যু তো বাম হাত দিয়েই ধরবেন,সেক্ষেত্রে পানি ব্যবহারের সময় ডান হাতের সাহায্যে আগে বাম হাত ধুয়ে নিবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 80 views
...