আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
১. https://ifatwa.info/75076/ এই লিঙ্কে বলা হয়েছে ঈমান হবে না । হুজুর আমি তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছি। Plz উত্তর টা ঠিক করে দিবেন।

২. হুজুর দিয়ে আমি মনে মনে ওই রকম করে বলে দেখছিলাম উচ্চরণ হচ্ছে কি তাই, মনে মনে ভাবছি ওই কথা টা , মুখে উচ্চরণ করিনি ভাবতে সময় খুবই সামান্য পরিমাণে জিহ্ববা নড়ছিলো। খুবই সামান্য পরিমাণে। হুজুর মুখ দিয়ে উচ্চরণ হয়নি হালকা বাতাস বেরিয়েছে। এর জন্য কি তালাক হবে?

৩. হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

৪. হুজুর কিছু খাচ্ছি বা পানি খাচ্ছি তখনি মনে মনে শর্ত তালাকের কথা বলে হচ্ছে, কিছু খেলে তো জিহ্ববা নড়বে। কিন্তু মুখে উচ্চরণ করিনি। কিছু খেতে গেলে তো জিহ্ববা নড়বে সেই সময় তালাকের কথা মনে হলে কি তালাক হবে? আমি তো উচ্চরণ করছিনা মনে মনে হচ্ছে। হুজুর তালাক হবে না তো?

৪.১ হুজুর পানি খেতে যাবো তখন  গলা তে চুলকাচ্ছিল তাই আমি গলা টা পরিষ্কার করলাম সেই সময়  পানি খেতে যাবো দিয়ে শর্ত তালাক এর কথা মনে হচ্ছিল, হুজুর গলা টা পরিষ্কার করার জন্য গলাতে শব্দ করে গলা টা ঝেড়ে নিয়েছি। মুখে কোনো উচ্চরণ করিনি। হুজুর । এর পর যদি পানি খাই তাহলে তালাক হবে না তো?  আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। গলা টা ঝেড়ে নিয়েছি তাই শব্দ হয়েছে।  তালাক হবে না তো হুজুর?

৫. আপনাদের কে বলার জন্য কিছু হবে না তো?

৬. একটা ভিডিও দেখছিলাম হিন্দি ভিডিও। কমেন্ট বক্স এ একটা হিন্দু ছেলে লিখেছে , kis kis ko nabi ka ummati hona pasand hai হুজুর জার বাংলা মানে কার কার নবীর সা: এর উম্মত হতে পছন্দ। আমি এই টা দেখে লাইক করেছি। অবশ্যই আমি নবীর সা: এর উম্মত হতে পারে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। তাই আমি কমেন্ট এ হ্যাঁ বাঁচক উত্তর দিয়ে লাইক করেছি। যে আমি পছন্দ করি,  হুজুর আমি তো আগে থেকেই নবীর সা: উম্মত । তাহলে এইখানে বলা হয়েছে কে কে উম্মত হতে পছন্দ, সেই উত্তরে আমি হ্যাঁ বাচক দিয়ে লাইক করেছি। আমি তো আগে থেকেই নবীর উম্মত। তাহলে এই খানে নতুন করে হ্যাঁ বাচক লাইক করার জন্য কি  নতুন করে আবার নবীর উম্মত হতে হবে??  ঈমানের কোনো সমস্যা হবে? হুজুর আমি নবীর উম্মত আছি তো হুজুর না হলে শেষ হয়ে যাবো ?

৭. আমার ঈমান ঠিক আছে তো হুজুর?  হুজুর এই রকম প্রশ্নের জন্য ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না তো?

৮. হুজুর একটা বন্ধু বলছে আজকে এক অক্ত ও নামাজ পড়িনি গো , আজ যখন পড়িনি আর পড়বই না বাড়া তাই বলছে একটু হেসে তাই বললো,

আমি সুনে সঙ্গে সঙ্গে একটু এমনি হাসি মুখে  বললাম এই সব বলতে হয়না ভাই । হুজুর আমার ঈমান ঠিক আছে তো?

৯. হুজুর  শয়তানের ওয়াসওয়সা তে মুখে উচ্চরণ না করে মনে মনে ইলা হয়?

৯.১ হুজুর মনে মনে যদি শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে পড়ে মনে মনে ঈলার কসম হয়ে জাই তাহলে কি ইলা হবে? মুখে উচ্চরণ করেনি যা হয়েছে মনে মনে এক্ষেত্রে কি ইলা হবে?

৯.২ হুজুর ইলা র কসম করে যদি স্ত্রীর কাছে গিয়ে এমনি স্বামী সুলভ আচরণ করে, বা সহবাস করলে ইলা ভঙ্গ হবে? ইলা ভঙ্গ হলে কি বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে তো?

৯.৩ ইলার কসম করলে কত দিনের মধ্যে  ইলা ভঙ্গ করতে হয়? সময় সীমা কতদিন।একটু বলবেন।

১০. হুজুর হয়ত কোনো দিন স্ত্রী কে রাগ করে বলেছি , সহবাস করবো না কোনো কসম করিনি । কসম না করে এমনি বলেছি, তার পরও সহবাস করেছি। হুজুর  কখনো ৪ মাস অতিক্রান্ত হয়নি। হুজুর কসম করে তো বলিনি এমনি বললে বলেছি , একবার বলেছি অনেক দিন হলো সহবাস করিনি , তাই স্ত্রী কে মজা করে বলছি অনেক দিন তো করিনি , কি ভাবে সহবাস করে তাই ভুলে যাবো । এমনি বলেছি। হুজুর কোনো কসম করে বলিনি।  হুজুর আমার কি ইলা হবে?

১১.তার পর স্ত্রী কে রাগ করে বলেছি সহবাস করবো না। কিন্তু কোনো কসম করে বলিনি। আমি যখন সহবাস করতে চেয়েছি স্ত্রী হয় তো রাজি ছিল না , দিয়ে আমি বলেছি করবো না সহবাস। কিন্তু হুজুর কোনো কসম করে বলিনি। এমনি নরমালি বলেছি। এর জন্য কি ইলা হবে?

১২. হুজুর শুয়ে ছিলাম , দিয়ে পা টা ওপরে দিক করে আবার নিচে নামাচ্ছি, হটাৎ শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মনে হচ্ছে কাবা শরীফের এর দিক পা করছি ( লাথি মারছি) আস্তাগিরুল্লাহ আস্তাগিরুল্লাহ নাউজবিল্লা। হুজুর সম্পূর্ণ শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন মনে হচ্ছে। আল্লাহ কসম হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন হয়েছে। হুজুর আমি এই সব ভাবতে চাইনি শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন হয়েছে। হুজুর মনে মনে এমন ভাবনা হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে? শেষ হয়ে যাচ্চি হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
দুঃখিত,ভুল সংশোধন করা হয়েছে।
জাযাকাল্লাহ। 

(০২)
এর জন্য তালাক হবেনা।
এখানে জিহবা নাড়িয়ে নিজ কানে আসার মতো আওয়াজে উচ্চারণ জরুরী। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমনটি না হওয়ায় তালাক হবেনা।

(০৩)
আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

(০৪)
তালাক হবেনা।

৪.১
তালাক হবেনা।

(০৫)
আমাদেরকে বলার জন্য কিছু হবে না।

(০৬)
সেখানে নতুন করে হ্যাঁ বাচক লাইক করার জন্য  নতুন করে আবার নবীর উম্মত হতে হবেনা।  ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। আপনি নবীর উম্মত হিসেবেই আছেন।

(০৭)
আপনার ঈমান ঠিক আছে। এই রকম প্রশ্নের জন্য ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৮)
আপনার ঈমান ঠিক করে। 

(০৯)
মনে মনে ঈলা হয়না।

৯.১
তাহলে ঈলা হবেনা।

৯.২
চার মাসের মধ্যে যদি স্ত্রীর কাছে গিয়ে এমনি স্বামী সুলভ আচরণ করে,তাহলে ঈলা ভঙ্গ হবেনা।

সহবাস করলে ঈলা ভঙ্গ হবে।
ঈলা ভঙ্গ হলেও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে।
তবে এক্ষেত্রে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে।

৯.৩
চার মাস।

(১০)
আপনি আল্লাহর নাম নিয়ে কসম করে বলেননি,তাই ঈলা হবেনা।

(১১)
এর জন্য ঈলা হবেনা।

(১২)
মনে মনে এমন ভাবনা হওয়ার জন্য ঈমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...