আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১. হুজুর আজকে মাগরিব এর নামাজ পড়তে যাচ্ছি নামাজে সবাই দাড়িয়ে গিয়েছে , ইমাম সাহেব সূরা পড়ছেন আমি তার কন্ঠ সুনে চিনতে পেরেছি, দিয়ে হটাৎ মনে হলো এটা যদি এই ইমাম সাহেব হয় তাহলে তালাক , এই রকম মনে মনে হলো মুখে উচ্চরণ করিনি, গিয়ে দেখছি সেই ইমাম সাহেব ই পড়াচ্ছেন । দিয়ে আমার খুব ভয় হয়ে জাই হুজুর , আমি তো মুখে উচ্চরণ করিনি তাহলে কি তালাক হবে?

২. তার পর থেকে নামাজে সূরা পড়ছি তখন মনে মনে আমি ভাবছি   এইসব এ কিছু হয়না, মনে মনে তালাক  হয়না এই সব মনে মনে ভাবনা হচ্ছে আর মুখে আমি সূরা পড়ছি , হুজুর এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?  বা ঈমান চলে যাবে?
৩. নামাজ পড়তে পড়তে একটা হাসির কথা মনে পড়ে যায়, এবং ঠোঁটে একটু হাসি চলে আসে সঙ্গে সঙ্গে নামাজে মনোযোগ  দিয়েছি এক্ষেত্রে কি ঈমান চলে যাবে? খুবই চিন্তা হচ্ছে হুজুর।

৪. হুজুর তার পর থেকে শুধু এই মনে মনে হচ্ছে ,  স্ত্রী যদি অমুক কাজ করে  , বা অমুক কথা বলে তাহলে তালাক, মুখে উচ্চরণ করছিনা মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে স্ত্রী যদি সেই কাজ করে, বা অমুক কথা বলে  তাহলে কি তালাক হবে?
৫.  আমার মনে মনে এমন হচ্ছে এটা হলে তালাক, অমুক কাজ   করলে  তালাক , মনে মনে শুধু শর্ত তালাক এর কথা মনে হচ্চে , মুখে উচ্চরণ করিনি। তার পর যদি সেই কাজ করি বা বলি তাহলে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে স্ত্রী যদি সেই কাজ করে, বা অমুক কথা বলে,তাহলে তালাক হবেনা।

(০৫)
তার পর যদি সেই কাজ করেন বা বলেন, তাহলে  তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...