আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১. https://ifatwa.info/77850/ এই লিঙ্কে বলা হয়েছে , কোনো তালাক হবে না। আর বলা হয়েছে , আরো জানতে নিকট তম কোনো  দারুল ইফতাই যোজাজোগ করতে।
হুজুর আমার খুবই চিন্তা হচ্ছে, হুজুর আমি আপনাদের কথা শুনে , পরামর্শ নিয়ে নিশ্চিন্ত মনে ঘর সংসার করতে পারি?
আমি যদি কোনো দারুল ইফতাই যোগাযোগ না করি তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে হুজুর??  হুজুর আমাদের তো কোনো তালাক হয়নি তাইনা ?
২. হুজুর আমি দেখছিলাম উচ্চরণ হয়েছে কিনা , তাই মুখ বন্দ রেখে শুধুমাত্র তালা কথা টা বলে দেখছিলাম সম্পূর্ণ শব্দ উচ্চরণ করিনি হুজুর। শুধুমাত্র তালা টা বলছিলাম । আর মনে মনে বাকি টা হয়েছে , মুখে উচ্চরণ করিনি। হুজুর আমি সম্পূর্ণ শব্দ মুখে উচ্চরণ করিনি। শুধু তালা টা বলেছি। তাও ঠোঁট বন্ধ রেখে। বাকি মনে মনে হয়েছে। হুজুর এর জন্য তো কোনো তালাক হবে না তাই না হুজুর,??

৩. হুজুর আমি কি নিশ্চিন্ত মনে ঘর সংসার করতে পারি? আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর,?

৪. হুজুর আমরা যদি এখন সন্তান নিবো ভাবছি , যদি সন্তান নি তাহলে জায়েজ বা বৈধ হবে তো?

৫.হুজুর স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিলো, দিয়ে স্ত্রী রেগে বলছে তোমার মত কূটনীতি মানুষ দরকার নেই। আমার ভয় হয়ে যায় কেনিয়া বলে। হুজুর আমি পরে স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করি কি হিসেবে এই কথা বললে সে বললো রেগে বলেছে কোনো কারণ নেই। এই কথা শুনে আমি রাগ করে স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছি। হুজুর আমার স্ত্রী রেগে এমনি বলেছে। হুজুর এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?

৬. হুজুর  আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো, আমাকে বারবার চিন্তা করার দরকার নেই তাই না হুজুর?

1 Answer

0 votes
by (678,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনাদের কোনো তালাক হয়নি।
তাই দারুল ইফতায় যোগাযোগ না করলেও সমস্যা হবেনা। 
আপনারা নিশ্চিন্ত মনে ঘর সংসার করতে পারবেন। 

(তবে ওয়াসাওয়াসা থেকে মুক্ত হতে না পারলে বা আরো বেশি কিছু জানার আগ্রহী হলে পূর্বের ফতোয়ার ন্যায় আবারো পরামর্শ স্বরুপ নিকটতম কোনো দারুল ইফতায় স্বশরীরে যোগাযোগ করার অনুরোধ থাকবে।)

(০২)
এর জন্য কোনো তালাক হবেনা। 

(০৩)
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

(০৪)
আপনারা যদি সন্তান নেন, তাহলে জায়েজ বা বৈধ হবে।

(০৫)
এর জন্য কোনো তালাক হবেনা। 
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।
আপনার বারবার চিন্তা করার দরকার নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...