আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (89 points)
শায়েখ আমি কিছু বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।
১. আমার বউ পর্দা করতে অনাগ্রহী, এটা নিয়ে কথা বললেই বিশাল ঝামেলা শুরু হয়। গত দিন তাকে এই নিয়ে বলায় যথারিতি ঝামেলা শুরু হয়, তখন তাকে বলি একদিন তুমি তোমার ভুল বুঝতে পারবায় ইনশাআল্লাহ। পরে সে বলে "আল্লাহ আমারে আমার ইচ্ছামতো থাকার তৌফিক দিক, আমিন"(অর্থাৎ সে তার মতো থাকতে চাওয়ার জন্য দোয়া করে)
"আমি চাইছিলাম্না আমার লাইফ এমন হোক,
আল্লাহ আমারে বিপদে ফালাইছইন", "আমি হুজুর চাইছিলাম না, আমি আমার মতো কেও চাইছিলাম", "আমি পর্দাটাই করতে পারবো না, এটা আমি চাই না কখনো" তাছাড়া আমাদের বিয়েকেও গালি দেয়" বলে বিয়ে করে বিপদে পরেছি, _____ এর বিয়ে" (___ একটা বাজে শব্দ)

এসব বলে সে তালাক চেয়ে বসে, এই বিষয়ে পরে জানতে চাচ্ছি, প্রথমে জানতে চাই তার উপরের কথা দ্বারা কোনো ভাবে কুফর হয় কি না?

২.(ম্যাসেজে আলাপ হচ্ছিলো) তারপর সে আমাকে বলে " তুই আমারে মুক্তি দে,কদিন পরপর এইসব জ্বালা ভালো লাগে না" তখন আমি জবাবে একটি লাইন লেখি" আচ্ছা বউ, তুমি বলো তো, আমি তোমারে কি এমন বললাম। এই ম্যাসেজ টাইপের সময় "আচ্ছা বউ" লিখে একটু থামি তখন মাথায় আসে, এভাবে লিখলে কি বউ এর মুক্তি দে কথার জবাবে আচ্ছা,বা সম্মতি চলে আসে? তখন মনে হলো আমি তো এই নিয়তে আচ্ছা বউ বলছি না তারপর সব লাইন লিখে সেন্ড করি। এর ফলে কি কোনো তালাক পতিত হয়েছে? যেহেতু এটা মজলিশ ছিলো..

(উল্লেখ্য আমি আচ্ছা বউ বলে ম্যাসেজ লিখা শুরু করেছিলাম, অনেক সময় আমরা মানুষকে প্রশ্ন করার সময়, আচ্ছা বলে প্রশ্ন শুরু করি না?যেমন, আচ্ছা স্যার এটা কিভাবে হলো, আচ্ছা হুজুর এটা জায়েজ কি না, এই নিয়তে আচ্ছা লিখা)

৩. তার পর বলে আমার কাজে বাধা দিয়ো না, দিলে।কখন আমার মুখ দিয়া বাহির হইয়া যাইবো, আর শেষ হইবো সব(মূলত তার তালাকের অধিকার আছে তাই এটা বলেছে) এতে কি কোনো শর্ত বা কিছু হয়?

৪. এটা তো তালাকের মজলিস ছিলো,এটা কতোক্ষন স্থায়ী হয় এব্যাপারে কি কিছু আছে?এখন সেই ওয়াটসাপে যদি আমি ভয় দেখানোর  জন্য কেনো কেনায়া কথা বলিও তবে কি তালাক হবে? না কি তালাকের মজলিস,শেষ এখন ওই ম্যাসেজ উপরে লিখা থাকার পরে ও আমি কেনায়া বাক্য ভয় দেখানোর জন্য বললে তালাক হবে না। মূলত এই মজলিস, বাস্তবে বা ম্যাসেজে কতোসময় থাকে
৫.আমার বিবাহের পর থেকে আমি কিছু ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করি,প্রেকটিসিং যাকে বলে। আমার বউ ও মাশাআল্লাহ মেনে চলে,শুধু পুরোপুরি পর্দা করে না।এই নিয়ে কথা বলার আগে পর্যন্ত শান্তি বিরাজ করে কিন্তু তাকে পছন্দ মতো কাপড় পড়তে মানা করলেই সে কেমন জানি হয়ে যায়। সরাসরি প্রথমেই তালাক চেয়ে বসে, গত কালকে বলেই দিলো এসব নিয়ে বাধা দিলে নিজেই তালা* নিয়ে বসবে। আসলে আমি তাকে খুবই ভালোবাসি ওকে ছাড়া আমার স্বাভাবিক জীবন চলবে না, সেও অনেক ভালোবাসে, আমল আখলাখ ও ওই একটি বিষয় ছাড়া বাকি দিকে ভালো। তাকে ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আর এই ঝামেলাও নিতে পারছি না।
তাকে তার মতো তার হালতে চলতে দিয়ে, আমি যদি শুধু দোয়া করি, আর যখন মন ভালো থাকে তখন এট্টু আট্টু বুঝাই তবে কি আমার দায়িত্ব আদায় হবে? দাইয়ুস থেকে মুক্তি পাবো? এটা নিয়ে তাকে স্বাভাবিক  রাগ দেখালেই সে তো সম্পর্ক শেষ করতেও প্রস্তুত  হয়ে যায়।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...