আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
edited by
১. আমার দাদা বাড়ি(দাদা মারা যাওয়ার পরও ভাগ করেনি।আমরা,চাচারা,ফুপুরা থাকতাম) বিভাগীয় শহরে আর শশুরবাড়ি   আরেক জেলা তে।আমি আর আমার হাসব্যান্ড অন্য আরেক  উপজেলাতে বাস করি।

দাদার বাড়ি আর শশুরবাড়ি দূরত্ব ১৫০ কি, মি।

আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আম্মু বিয়ে করে দাদা বাড়ির এলাকাতেই আরেকটা বাসায় থাকে(হেঁটে গেলে ২মিনিট এর দূরত্ব)।আমার জিনিস(বই,কাপড় ইত্যাদি) দাদা বাড়িতেও কিছু আছে,আম্মুর বাসাতেও আছে।কারণ আম্মুর বিয়ের পর এমন হয়েছে আমি সারাদিন আম্মুর বাসায় থাকছি রাতে দাদার বাড়ি যেয়ে ঘুমাইছি, আমার খাওয়া হতো আম্মুর ঐখানে কিন্তু ঘুমানো দাদার বাড়িতে(রমজান বাদে)।কিন্তু করোনা পর থেকে আমি আম্মুর ঐখানে রাতেও থাকা শুরু করি। আম্মুর বাসায় আমি প্রতি মাসে একবার যাওয়ার চেষ্টা করি এখন  , ভবিষ্যতে  ব্যস্ততা বেড়ে গেলে প্রতি মাসে যাওয়া হবে নাকি সেইটা আল্লাহ ভালো জানেন । তাহলে কি ১৫দিনের কম থাকলে আমাকে দাদার বাড়ি,আম্মুর বাসায় ,শশুরবাড়ি তে কসর করে নামাজ পড়তে হবে?দাদার বাড়ি যেই শহরে সেই শহরে অন্য আত্মীয়দের বাড়িতেও কি কসর করে নামাজ পড়া লাগবে? নানী বাড়ি একই শহরে।নানী বাড়িতেও কসর করা লাগবে?

২. আমি কোথাও এপ্লাই করতে গেলে স্থায়ী ঠিকানা দাদীর বাড়ির ঠিকানা দেয় আর বর্তমান ঠিকানা আম্মুর বাসার টা দেয়।যেনো কোনো ডকুমেন্ট গেলে খুঁজে পেতে সুবিধা হয়।আমি আর আমার হাসব্যান্ড বর্তমানে যে এলাকা তে আছি আমরা নিজেরাই  তেমন কিছু চিনি না আর এই এলাকা তে কত দিন থাকবো তার ঠিক নাই।তাই বর্তমান ঠিকানা আম্মুর বাসায় দেয় যেনো কোনো ডকুমেন্ট গেলে আম্মু সহজে কালেক্ট করতে পারে।বর্তমান ঠিকানা আম্মুর বাসার ঠিকানা দিচ্ছি এইটা করা যাবে?আমি বিবাহিত হয়ে যে স্থায়ী ঠিকানা শশুরবাড়ির ঠিকানা দিচ্ছি না দাদার বাড়ির টা দিচ্ছি।এইটা কি করা যাবে?জাতীয় পরিচয় পত্র,বার্থ সার্টিফিকট, স্কুল,কলেজ তো দাদার বাড়ির ঠিকানা পার্মানেট ঠিকানা দিয়া আছে।
৩. আমার হাসব্যান্ড ও তার বর্তমান ঠিকানা আমার আম্মুর বাসার টা দেয় জব এপ্লাই করতে পারবে কি?

৪. আমার হাসব্যান্ড আগে পড়ালিখা করার জন্য আমার দাদার বাড়ি যেই শহরে সেইখানে থাকতো। জব এরজন্য আমাদের বাইরে থাকা।কিন্তু ইচ্ছা আছে আমার দাদার বাড়ির শহরে জব হলে ঐখানেই বসবাস শুরু করে দিবে স্থায়ী ভাবে।আমার  দাদা বাড়ি/আম্মুর বাসায় গেলে কি আমার হাসব্যান্ড নামাজ কসর করে পড়বে?

৫.কম দিনের নিয়ত করে যদি ১৫দিনের বেশি থাকা হয়? তাহলে কি করে নামজ আদায় করব?আগের নামাজ তো কসর করে পড়া হয়েছে?

৬. আম্মুর বাসা/দাদার বাড়ি থেকে কোনো আত্মীয়দের বাড়ি গেলাম যাদের ৭৫কিমি এর কম দূরে বাড়ি।তাদের  ঐখনে কি করে নামাজ পড়ব?

৭. আমি আর আমার হাসব্যান্ড  ৭৫ কিমি দূরে কোথাও গেলাম।আমার হাসব্যান্ড এর নিয়ত ১৫দিনের কম থাকবে।কিন্তু আমি ১৫দিনের বেশি থাকবো।তাহলে আমি কসর করে নামাজ পড়ব নাকি কসর না করে নামাজ পড়বো?

৮. এক আন্টির হাসব্যান্ড মারা গেছে।দুই ছেলে আছে।পড়ালিখা করে।আমার জানা মতে তাদের এক্সট্রা কোনো টাকা জমানো নাই।ব্যাবহিত সোনা আছে ১-২ ভরি এর মত। তাদের থাকার একটা বাড়ি আছে। যাকাত,অন্যরা টাকা দিয়ে আরেকটা বাড়ি করে দিচ্ছে যেনো এক বাড়ি তে থাকতে পারে আর এক বাড়ি ভাড়া দিতে পারে।তাহলে যে টাকা আসবে তারা চলতে পারবে।বাড়ি করার আর ২৮০০০ টাকা আছে।আমি কি  আগামী বছরের যাকাত ঐ আন্টিকে অগ্রিম দিতে পারবো যেনো বাড়ি টা কমপ্লিট করতে পারে? আমি টাকা দিয়ে যদি বলে দেই এইটা যাকাত এর টাকা বাড়ির কাজে ব্যাবহার করেন তাহলে হবে?এমন ভাবে কি বলা যাবে?

৯. হাসব্যান্ড বলছিলো তাদের কোম্পানি তে কেউ বেশিদিন জব করছে না।আমি উত্তর দিয়েছি যে সবাই বেটার অপশন পেলে মুভ করে।এই কথা বলার সময় হাসব্যান্ড এর কথা মনে হয়েছে।(এইটা নিশ্চিত) কিন্তু হুসবন্ড থেকে মুভ করা উচিত/ মুভ করবো । এই কথা মনে হয়েছে নাকি এই ব্যাপারে নিশ্চিত না।মনে হতেও পারে আবার না ও পারে।মনে হওয়ার পক্ষে সম্ভাবনা বেশি ।এইটা কি কেনায় বাক্য ধরা হবে?ইচ্ছা করে তো এইসব মনে করিনি।অবচেতন মনে চলে আসছে বলার পর।

হাসব্যান্ড এর সঙ্গে গল্প করছিলাম।গল্পের এক পর্যায়ে বলি যে মেয়েটা ছেলেটাকে ডিভোর্স দিয়ে দিল।দিয়ে নিজের কথা মনে হয়, আমিও মেয়ে।ওয়াসওয়াসা আসছে যে এইটা কেনায় বাক্য হয়েছে।

সময়ের সঙ্গে কত জন চলে যায়(আব্বু,অন্য রেলটিভ মারা গেছে)।জানি এইটা কেনায় না।তাও মনে হচ্ছে এইটা কেনায় হয়ে গেলো নাতো।

কোনো জায়গা তে এপ্লাই করার সময় যে স্থায়ী ঠিকানা দাদার বাড়ির টা দেয়। আমার তো এইটা নিয়েও প্রবলেম হয় যে কেনায় হয়ে গেলো নাকি।


হাসব্যান্ড কে বলছিলাম যে জিন দেখার পর থেকে আমার একা একা থাকতে ভয় লাগে ।এখন মনে হচ্ছে একটু থেমে একা একা উচ্চারণ করেছি।এইটা কেনায় বাক্য হয়ে গেলো নাকি।

এই কেনায় ব্যাপার টা জানার পর থেকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে। হাসব্যান্ড এর সঙ্গে ,অন্য কারো সঙ্গে হাসব্যান্ড এর ব্যাপারে কথা বলতে গেলেও ভয় লাগছে যে আল্লাহ ভুলে কেনায় বাক্য বলে ফেললাম নাতো।খুব চিন্তা করে করে থেমে থেমে কথা বলতে হচ্ছে।কিছু বললে যদি মনে খটকা লাগছে সেইটা নিয়ে ভাবছি যে কেনায় বাক্য হলো না তো? আপনাদের জিজ্ঞেস করছি।আমার করা বিগত প্রশ্ন গুলো একটু কষ্ট করে দেখলে বুঝবেন যে কেনায় বিষয় টা আমাকে কেমন কষ্ট দিচ্ছে।

আমাকে এই সমস্যার সমাধান দিলে ভালো হয়।আমি আর নিতে পারছি না।

1 Answer

0 votes
by (677,960 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) তে এক দিনের জন্য গেলেও পুরো নামাজ পড়তে হবে।
    
ব্যক্তি নিজের স্থায়ী নিবাসে গেলে কখনো মুসাফির হয়না। স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য থাকার নিবাস হয়”।

শরীয়তের বিধান হলো কোন স্থানে গিয়ে সেখানে যদি কমপক্ষে পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলেও কসর পড়তে হবে। বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে কসর করতে পারবে না।

৭৮ কিলোমিটার হল সফরের দূরত্ব। এর কম নয়। সুতরাং কেউ যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরের নিয়তে বের হয় কেবল সেই ব্যক্তি কসর পড়তে পার। এরচে’কম দূরত্বের সফরের জন্য কসর পড়া জায়েজ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছে  

سنن أبى داود -صلاة السفر باب متى يقصر المسافر (1 / 465)حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْهُنَائِىِّ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قَصْرِ الصَّلاَةِ فَقَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا خَرَجَ مَسِيرَةَ ثَلاَثَةِ أَمْيَالٍ أَوْ ثَلاَثَةِ فَرَاسِخَ – شُعْبَةُ شَكَّ – يُصَلِّى رَكْعَتَيْنِ.

সারমর্মঃ যখন তিন ফারছাখ সফরের নিয়ত করে,তাহলে কসরের নামাজ পড়তে পারবে।
.
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত মহিলা যেখানে থাকেন, যদি সেই বাড়িকেই ওয়াতলে আসলী তথা মূল বাড়ি হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। অর্থাৎ সেখানেই তিনি মূলত থাকেন পরিবার নিয়ে।
নিজ পিতার বাসায় বা শশুর বাসায় স্থায়ী ভাবে থাকার যদি কোনো নিয়ত না থাকে,স্থায়ী ভাবেই যদি পিতার বাসা ত্যাগ করে থাকে,  আর তার পিতার বাসা এই বাসা থেকে ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি দুরত্বে হয়, তাহলে তিনি পিতার বাসায়/শশুর বাসায় গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে মুসাফির হবেন। 
সেখানে কসরের নামাজ পড়বেন।।
,
যদি তিনি যেখানে আছেন,সেটাকে ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) হিসেবে ঠিক না করে,তাহলে তিনি নিজ পিতার বাসায় মুসাফির বলে গন্য হবেননা। 
,
তিনি যেখানে আছেন,সেটাকে স্থায়ী নিবাস হিসেবে  ঠিক করলেও যদি স্থায়ী ভাবেই যদি পিতার বাসা ত্যাগ না করে থাকেন,বরং নিজ জীবনের কোনো সময় সেখানে বা সেই এলাকায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে,তাহলেও তিনি  নিজ পিতার বাসায়,শশুর বাসায় মুসাফির বলে গন্য হবেননা। 
কারন সেটি এখনো তার স্থায়ী নিবাস হিসেবেই আছে।

فى رد المحتار- (الوطن الاصلى يبطل بمثله) ( قوله إذا لم يبق له بالأول أهل ) أي وإن بقي له فيه عقار قال في النهر : ولو نقل أهله ومتاعه وله دور في البلد لا تبقى وطنا له وقيل تبقى كذا في المحيط وغيره (رد المحتار-كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي ووطن الإقامة-2/614)
সারমর্মঃ ওয়াতনে আসলিতে যদি স্থায়ী আর না থাকার নিয়ত করে,এবং  পরিবার সামানা যদি সেখানে আর না থাকে,তাহলে সেটা আর ওয়াতনে আসলি থাকবেনা। 
অন্যথায় সেটা ওয়াতনে আসলি হিসেবেই থাকবে।   

আরো জানুনঃ
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার স্থায়ী বাসা কোনটা?
আপনি আপনার স্বামীকে নিয়ে যেখানে বসবাস করেন,সেটা কি আপনার স্থায়ী বাসা?

এখন আপনি আপনার স্বামীকে নিয়ে যেখানে বসবাস করেন, শশুর বাড়িকে স্থায়ীভাবে ত্যাগ করে এই বাসাকেই নিজ স্থায়ী বাসা হিসেবে নির্ধারন করেছেন কিনা?
আর কোনো দিন শশুর বাড়িতে স্থায়ী ভাবে যাওয়ার নিয়ত নেই,এমনটি হয়েছে কিনা?

যদি আর আর কোনো দিন শশুর বাড়িতে স্থায়ী ভাবে যাওয়ার নিয়ত না থাকে,বরং এই বাসাকেই স্থায়ী ভাবে পরিবার নিয়ে সারাজীবন থাকার নিয়ত করে থাকেন,এবং আপনাদের এই বাসা হতে আপনার শশুর বাড়ি ৭৮ কিলোমিটার এর দূরত্বে হলে ও সেখানে গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজ শশুর বাড়িতে গেলে কসর নামাজ আদায় করবেন।

এক্ষেত্রে এখন আপনি আপনার স্বামীকে নিয়ে যেখানে বসবাস করেন,সেই বাসা হতে আপনার দাদার বাড়ি ৭৮ কিলোমিটার এর দূরত্বে হলে ও সেখানে গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজ বাসা হতে সরাসরি নিজ দাদার বাড়িতে গেলে কসর নামাজ আদায় করবেন।

আপনি আপনার স্বামীকে নিয়ে যেখানে বসবাস করেন,সেই বাসা হতে আপনার আম্মুর বাড়ি ৭৮ কিলোমিটার এর দূরত্বে হলে ও সেখানে গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজ বাসা হতে সরাসরি নিজ আম্মুর বাড়িতে গেলে কসর নামাজ আদায় করবেন।

আপনার শশুর বাড়ি হতে দাদা/আম্মুর বাড়িতে গেলে কসর আদায় করতে পারবেন।

তবে আপনার দাদার বাড়ি হতে আপনার আম্মুর বাড়ি অথবা আপনার আম্মুর বাসা হতে আপনার দাদার বাড়িতে গেলে কসর আদায় করতে পারবেননা।

★আর যদি শশুর বাড়িকেই নিজ স্থায়ী বাসা হিসেবে নির্ধারন করে থাকেন,এখন স্বামীকে নিয়ে যেই বাসায় থাকেন,সেই বাসায় পরিবার নিয়ে সারাজীবনের জন্য স্থায়ী ভাবে থাকার নিয়ত না থাকে,বরং শশুর বাড়িকেই স্থায়ী ভাবে পরিবার নিয়ে সারাজীবন থাকার নিয়ত করে থাকেন,সেক্ষেত্রে শশুর বাড়িতে গিয়ে কসরের নামাজ আদায় করতে পারবেননা।

তবে দাদা/আম্মুর বাড়িতে গিয়ে কসরের নামাজ আদায় করবেন।

তবে আপনার দাদার বাড়ি হতে আপনার আম্মুর বাড়ি অথবা আপনার আম্মুর বাসা হতে আপনার দাদার বাড়িতে গেলে কসর আদায় করতে পারবেননা।

(০২)
স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে শশুর বাড়ির ঠিকানা দেয়া আবশ্যক ছিলো।
তদুপরি ডকুমেন্টস সহজেই পাওয়ার স্বার্থে ও জন্ম সনদ, ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদির সাথে মিল রাখার জন্য এভাবে ঠিকানা লেখাতে গুনাহ হবেনা।

(০৩)
না,এমনটি করা যাবেনা। 

(০৪)
এক্ষেত্রে সরাসরি আপনার দাদার বাড়ি/ সরাসরি আম্মুর বাড়িতে যদি যায়,এবং বর্তমান বাসা থেকে আপনার দাদা/আম্মুর বাড়ি ৭৮ কিলোমিটার এর দূরত্বে হলে ও সেখানে গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে সেখানে গিয়ে আপনার স্বামী কসর করবেন।

তবে ঐ এলাকার যেই বাড়িতে তিনি আগে থেকে ছিলেন,যেখানে স্থায়ী ভাবে থাকার নিয়ত আছে,সেখানে গেলে কসর করতে পারবেনা।
সেই বাড়িতে আগে গিয়ে পরবর্তীতে আপনার দাদা/আম্মুর বাসায় গেলেও কসর করতে পারবেনা।

আপনার দাদার বাড়ি হতে আপনার আম্মুর বাড়ি অথবা আপনার আম্মুর বাসা হতে আপনার দাদার বাড়িতে গেলে কসর আদায় করতে পারবেননা।

(০৫)
এক্ষেত্রেও কসর আদায় করবেন। 

(০৬)
সেখানে গিয়ে পূর্ণ নামাজ আদায় করবেন। 
কসর আদায় করতে পারবেননা।

(০৭)
আপনি পূর্ণ নামাজ আদায় করবেন। 
কসর আদায় করতে পারবেননা।

উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ৭৮ কিলোমিটার দূরত্ব  হতে হবে।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত আন্টির মালিকানায় যেহেতু তার দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ থেকেও অতিরিক্ত টাকা আছে,তাই তাকে যাকাত দেয়া যাবেনা।

বরং তার উপরেও যাকাত ফরজ।

এখন কথা হলো, তাদের যদি কোনো জমি না থাকে,তার যে ছেলে আছে,তারা যদি বালেগ হয়,আর তাদের মালিকানায় যদি কোনো স্বর্ণ না থাকে,এবং নেসাব পরিমান টাকা না থাকে,সেক্ষেত্রে তার ছেলেকে আপনি যাকাত দিতে পারেন।

★তার ছেলেকে টাকা দিয়ে যদি বলে দেন এইটা যাকাত এর টাকা বাড়ির কাজে ব্যাবহার করেন তাহলে হবে। এমন ভাবে বলা যাবে।

এক্ষেত্রে যাকাত এর টাকা বলা আবশ্যক নয়।
আপনার মধ্যে যাকাত প্রদানের নিয়ত থাকাই যথেষ্ট। 
তাদেরকে হাদিয়া বলেও টাকাটা দিতে পারেন।
এতেও আপনার যাকাত আদায় হয়ে যাবে।

(০৯)
এটা কেনায়া বাক্য নয়।
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 
আলহামদুলিল্লাহ৷ কোনো সমস্যা হয়নি।
নিশ্চিন্ত মনে ঘর সংসার চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ রইলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
হুজুর ৯ নম্বর প্রশ্ন টা আমি আরো বিস্তারিত ভাবে বলেছি।যদি আরেক বার একটু কষ্ট করে দেখতেন প্রশ্ন টা
by (12 points)
হুজুর ৮ নম্বর প্রশ্নের আণ্টি আর তার ছেলেরা যে বাড়িতে থাকে সেই বাড়ির জায়গা আন্টির দুই ছেলের নামে আর যে বাসাটা করা হচ্ছে সেইটা আন্টির নামে।তাহলে কি আন্টির ছেলেকে যাকাত দিয়া যাবে?

by (677,960 points)
হ্যাঁ আন্টির ছেলেকে যাকাত দেয়া যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 79 views
0 votes
1 answer 189 views
...