আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারাম,
আপনি  শুধু  আমাকে  আমার  বর্ননাকৃত ৭টি অবস্থা
হানাফি  মাযহাব অনুযায়ী  খালওয়াতে সহীহা হয়েছিল নাকি হয় নাই,সেটা স্পষ্ট  বাক্যে বলে দেন।দয়া করে বলে দেন,আমি নিশ্চিন্তে থাকতে  চাই।

এগুলো খালওয়াতে সহীহা না হলে আমি নিশ্চিন্তে পুনরায়  আবার পূর্বের স্বামীকে বিয়ে  করতে  পারবো।

উল্লেখ আমি এই ব্যাপারে চারজনের কাছ থেকে  ফতোয়া  নিয়েছি,দুইজন মুফতি  সাহেব  উত্তর  দিয়েছেন খালওয়াতে সহীহা হয় নাই।

অন্য  আরেকজনের কাছে শুধু একটা অবস্থার উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি   ভিন্নমত পোষণ  করেছেন।এবং  অন্য  আরেকজনের কাছে আরেকটি অবস্থার কথা জানতে চেয়েছিলাম,তিনি বলেছেন  তিনি  বুঝতেছেন না,সংশয়ে আছেন,তাই তিনি কোন উত্তর  দিতে পারবেন  না।

এর জন্যই আমি  সংশয়ে পড়ে গেছি, আমি কি ধরে  নিয়ে  আমার  বাকী জীবন  অতিবাহিত  করবো, বুঝতেছি না।

১) একবার এক রেস্টুরেন্টে  স্বামী-স্ত্রী দুইজন খেতে গিয়েছিলাম।সেই রেস্টুরেন্ট ছিল  ২ রুমের।নিচে এক রুম,উপরে  এক রুম ( ডুপ্লেক্স  সিস্টেম, ভিতর দিয়ে  সিঁড়ি)।   নিচ   তালার রুমে রেস্টুরেন্টে  মেইনটেইন  করার সকল লোক,খাবার এসব ছিল।  উপরের রুমে কাস্টমারদের জন্য  টেবিল- চেয়ার।

যখন আমরা  রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম,তখন উপরের তালায় আমরা  শুধু  স্বামী - স্ত্রী  দুজন ছিলাম, অন্য কাস্টমার ছিল  না।

ওয়েটার  একবার  খাবারের  অর্ডার নিয়ে  গিয়েছিলো,একবার খাবার  দিয়ে  গিয়েছিলো, আবার আরেকবার বিল নিয়ে  এসেছিল।উল্লেখ্য উপরের তালার রুমে কোন  দরজা ছিল না, নিচ তালার রুমের সাথে সিঁড়ি  দিয়ে  সংযুক্ত। মেইন দরজা নিচ তালায় ছিলো,রেস্টুরেন্টে এসি করা  বিধায়  দরজা মিলানো ছিলো, কিন্তু  যে কেউই  দরজা ধাক্কা  দিয়ে  রেস্টুরেন্টে   প্রবেশ  করতে  পারতো।

২)   আরেক দিন, আরেকটা রেস্টুরেন্টে ও
আমরা দুজন ছিলাম,অন্য  কাস্টমার ছিল  না।

ঐ রেস্টুরেন্টে স্বামী  নিজেই গিয়ে ওয়েটারেরা যেখানে অর্ডার নেয়  সেখানে  গিয়ে  অর্ডার দিয়ে  এসেছিলো,বিল দিয়ে এসেছিলো।

  উল্লেখ্য  ঐ রেস্টুরেন্টে  এক রুমেরই ছিলো,ঐ রুমের এক প্রান্তে রেস্টুরেন্টে  মেইনটেইন  করার সকল লোক,খাবার এসব ছিল,বাকী  জায়গা কাস্টমারদের জন্য  টেবিল- চেয়ার ছিলো।আমরা যেই টেবিলে  বসেছিলাম,সেখান  থেকে খাবার অর্ডার  নেওয়ার জায়গা মুখোমুখি ছিলো না,আংশিক আঁড়ালে ছিলো। আংশিক আঁড়ালে ছিলো  মানে কিন্তু আলাদা  কোন বস্তু দিয়ে  আঁড়াল করা না,  অন্যান্য চেয়ার- টেবিলের অবস্থানের জন্য  এমনটা হয়েছিল।
রেস্টুরেন্টে এসি করা  বিধায়  দরজা মিলানো ছিলো, কিন্তু  যখন যে কেউই  দরজা ধাক্কা  দিয়ে  রেস্টুরেন্টে  প্রবেশ  করতে  পারতো।

★৩)    একবার  রেস্টুরেন্টে  আমরা ছাড়া অন্য কোন কাস্টমার ছিল  না।

ঐ রেস্টুরেন্টে,

স্বামী কতৃর্ক,স্ত্রীর বোরকার উপর  দিয়ে  স্ত্রীর শুধুমাত্র উপরের লজ্জাস্থান স্পর্শ  করে দেখা  এবং স্ত্রী  কতৃর্ক স্বামীর লজ্জাস্থান  সরাসরি  একটু  স্পর্শ  করে দেখা এতটুকু  সংগঠিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য  ঐ রেস্টুরেন্টে  এক রুমেরই ছিলো,ঐ রুমের এক প্রান্তে রেস্টুরেন্ট মেইনটেইন  করার সকল লোক,খাবার এসব ছিল,বাকী  জায়গা কাস্টমারদের জন্য  টেবিল- চেয়ার ছিলো।

রেস্টুরেন্টে এসি করা  বিধায়  দরজা মিলানো ছিলো, কিন্তু  যখন যে কোন কাস্টমার  দরজা ধাক্কা  দিয়ে  রেস্টুরেন্টে  প্রবেশ  করতে  পারতো।

★৪)একদিন  সিনেমা হলে গিয়ে তারা দুজন দুজনকে জড়িয়ে  ধরেছিল(দুজন পাশাপাশি  সিটে  বসেছিল) ,হালকা চুম্বন  করেছিলো,স্বামী তার স্ত্রীর জামার ভিতর  দিয়ে  হাত  ঢুকিয়ে স্ত্রীর বুক স্পর্শ  করেছিল কিন্তু  স্ত্রীর নিম্নাংশ  স্পর্শ  করে নাই।

স্ত্রী ও তার নিজ হাত দিয়ে তার স্বামীর নিম্নাংশ সরাসরি  স্পর্শ  করেছিল এবং  এর ফলে  স্ত্রীর হাতে স্বামীর নিম্নাংশের তরল পদার্থ লেগে গিয়েছিল।

সিনেমা হলে মানুষ অনেক কম থাকায় এবং অন্ধকার  পরিবেশ  থাকার কারনে এসব সংগঠিত হয়ে গিয়েছিল।

★৫)আমারা স্বামী- স্ত্রী  একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের  শিক্ষার্থী।

আমাদের  বিভাগটা যেই তালা তে অবস্থিত,সেই তালার এক প্রান্তে  বিভাগের  অফিস রুম এবং অন্য প্রান্তে সেমিনার  রুম( সেমিনার  রুম হচ্ছে বিভাগের  নিজস্ব  ছোট একট লাইব্রেরির মত, যেখানে  আলমারিতে বই রাখা এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা  করার জন্য  টেবিল-চেয়ার রাখা।সেমিনার রুমে স্যার,শিক্ষার্থী,অফিসের স্টাফ  সবার যাওয়ার অনুমতি আছে।ওখানে বই থাকে,সংবাদপত্র  রাখা থাকে,যার যখন যেটা প্রয়োজন  নিতে পারে।)

করোনাকালীন সময়ে  তো সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, আপনি জানেন ই।শুধু  অফিস খোলা থাকে এবং   প্রয়োজন অনুযায়ী  স্যাররা বিভাগে যান।আমরা স্বামী- স্ত্রী  সহ ৪/৫ জন বন্ধু একসাথে  ভর্তি হতে গিয়ছিলাম বিভাগে । প্রথমে আমারা ৪/৫ জন সবাই সেমিনার  রুমে বসে ছিলাম। এর পর একজন একজন করে ওরা চলে যায়।

আমারা তখন সেমিনার  রুমে দুইজন  ছিলাম,আর কেউ ছিলো  না।

আমরা যখন একা ছিলাম,সেই সময়ের মধ্যে  আমাদের  একটা ফ্রেন্ড  এসেছিলো,কিছুক্ষণ  ছিলো,কিছুক্ষণ পর আবার চলে গিয়েছিলো।

আমরা আবার  সেমিনার  রুমে শুধু  দুইজন হয়ে গিয়েছিলাম।

আরো ও উল্লেখ  করতেছি যে,আমাদের  সেমিনারে ২ টা রুম।ভেতরের রুমে সেমিনারের দায়িত্বে একজন  স্টাফ বসা থাকেন(তিনি থাকা অবস্থায় ও ভেতরের রুমের দরজা লাগানো থাকে), আমরা দুজন বসেছিলাম বাহিরের রুমে।
আমাদের  সেমিনার  রুম এসি করা বিধায়,সবসময় সেমিনারের বাহিরের  রুমের দরজা ও লাগানো  থাকে।

লাগানো মানে, যে কেউ যোকোন সময়  ঢুকতে পারে।কেউ দরজা ধাক্কা  দিয়ে ঢুকলে আবার  দরজা নিজ থেকেই লেগে যায়।

আমরা যেই রুমে বসেছিলাম,সেই রুমের  মধ্য দিয়েই ভিতরের রুমে  যাওয়া- আসা করতে হয়।

সেমিনারের দায়িত্বে   থাকা স্টাফ ভিতরের রুম তালা দিয়ে কিছুক্ষনের জন্য বাহিরে গিয়েছিলেন এবং আবার ফিরে এসেছিলেন।আমরা তখনও বাহিরের রুমে  বসা ছিলাম।

৬) দুইজন দুইজনের ইনবক্সে সেক্সুয়াল ছবি/ ভিডিও আদান-প্রদান;রিকশায় হুক উঠিয়ে ঘোরা;ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হাঁটা,সেই রাস্তার বসার জায়গায় কিছুক্ষন বসা;ফাঁকা সিঁড়ি এবং লিফট  দিয়ে  উঠা/ নামা করা।

৭) আরেকবার একটা  রেস্টুরেন্টে  খাইতে  গেছিলাম। ঐ রেস্টুরেন্টে অন্যান্য কাস্টমার   ছিল।ঐ রেস্টুরেন্টের এক পাশে একটা বড় রুমের  ভিতর  ২/৩ টা  টয়লেট ছিল  এবং ঐ রুমের  বাকি জায়গায়  ২/৩ টা বেসিন ছিলো  হাত ধোঁয়ার জন্য।

উল্লেখ, টয়লেটের ভিতর বেসিন  না কিন্তু। টয়লেটের বাহিরে কিন্তু  ঐ বড় রুমের ভিতরে বেসিনগুলো ছিল।
আমারা দুইজন জাস্ট  একসাথে ঐ বড় রুমের ভিতর   গিয়ে বেসিনে  হাতটা ধুয়ে চলে আসছি।বড় রুমের দরজা খোলা ই ছিল।

উল্লেখ  আমাদের ঐ বড় রুমে হাত  ধুতে যাওয়ার অনেকক্ষণ আগেও  এখান থেকে  একটা মানুষকে হাত ধুঁয়ে ঐ বড় রুম থেকে বের হতে দেখেছি। কিন্তু  আমারা যখন হাত ধুইতে ডুকি তখন ঐ বড় রুমে  আর কেউ ছিলো  না।

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/27445/?show=27445#q27445 নং ফাতাওয়াতে বলা হয়েছে যে,

 

খালওয়াতে সহীহাহ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ

روى البيهقي في سننه عن سعيد بن المسيب أن عمر بن الخطاب رضى الله عنه (قضى في المرأة يتزوجها الرجل: أنه إذا أرخيت الستور فقد وجب الصداق) .

সারমর্মঃ

হযরত ওমর রাঃ এক মহিলা যাকে কোনো পুরুষ বিবাহ করেছিলোব্যাপারে ফায়সালা দিয়েছিলেন,

যখন তুমি সতর ছেড়ে দিয়েছিলে (খুলেছিলে) তখনই মোহর ওয়াজিব হয়েছে।

وعن الأحنف بن قيس أن عمر وعليا رضى الله عنهما قالا : (إذا أغلق بابا ، وأرخى سترا: فلها الصداق كاملا ، وعليها العدة) . قال الألباني في "إرواء الغليل" (1937) : "رجاله ثقات" .

সারমর্মঃ

যখন কেহ দরজা বন্ধ করে,সতর ছেড়ে দেয় (খুলে) তার জন্য পূর্ণ মোহর দিতে হবে।

وروى ابن المنذر في الأوسط (7273) عن الوليد بن أبي مالك قال: جمع عمر رضي الله عنه نفرا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فيهم معاذ بن جبل، فأجمع رأيهم: أنه إذا أغلق بابا، أو أرخى سترا، فقد وجب المهر.

সারমর্মঃ

যখন কেহ দরজা বন্ধ করে,সতর ছেড়ে দেয় (খুলে) তার জন্য মোহর ওয়াজিব হবে।

আরো জানুনঃ  

https://ifatwa.info/25565/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

(০১)

প্রশ্নে উল্লেখিত সকল তথ্য মোতাবেক আপনাদের খালওয়াতে সহীহাহ হয়নি।

 

কেননা খালওয়াতে সহীহাহ বলা হয়,এমন নির্জন বাস বা এমন কক্ষে অবস্থান করা,যেখানে সহবাস হওয়া থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকেনা।

এখানে প্রশ্নে উল্লেখিত রেস্টুরেন্টে অবস্থান,সেমিনার রুমে অবস্থান,দুইজন দুইজনের ইনবক্সে সেক্সুয়াল ছবি/ ভিডিও আদান-প্রদান;রিকশায় হুক উঠিয়ে ঘোরা;ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হাঁটা,সেই রাস্তার বসার জায়গায় কিছুক্ষন বসা;ফাঁকা সিঁড়ি এবং লিফট  দিয়ে  উঠা/ নামা করা কোনোটিই খালওয়াতে সহীহাহ নয়। 

 

সব ক্ষেত্রেই সহবাস হতে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

তাই এগুলো খালওয়াতে সহীহাহ নয়।

 

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/26424/

 

(০২)

কোন দম্পতির এক তালাক  বায়েন পতিত হওয়ার পর, যদি  তাদের  খালওয়াতে সহীহা হয়ে যায়, তাহলেও তাদের পুনরায় বিয়ে শুদ্ধ  হবে,এক্ষেত্রে কোনো ইমামদের মতানৈক্য নেই।

হানাফি মাযহাব সহ সকল মাযহাব অনুপাতে তাদের বিবাহ জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 248 views
...