আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
১.আমার বাবা আমার ছোট চাচাকে ১ লক্ষ টাকা ঋন দিয়ে তার থেকে জমি বন্ধক নিয়েছে।আমরা ঢাকায় থাকি। যেই চাচার থেকে জমি  বন্ধক নেয়া হয়েছে তিনি সেই জমি চাষ করে তার ৩ ভাগের ১ ভাগ ধান আমার বাবাকে দিবেন ৬মাস পরপর।এখন এই চাল /ধান নেওয়া কি সুদ হবে ?যেহেতু টাকা পরিশোধের সময় ১ লক্ষ টাকাই আমার বাবা নিবে।বাবাকে বললে তিনি বুঝতে চাননা, তিনি বলছেন আমি টাকা দিয়ে বন্ধক নিয়ে তো আবার ওকেই (আমার চাচাকে,জমির মালিক)চাষ করতে দিলাম, তাই এটা সুদ হবে না।

তাড়াতাড়ি উত্তর দিলে ভালোহয়, কারন অলরেডি আমার চাচা চাল পাঠিয়ে দিয়েছে আর আমি যদি ভাত খাই তাহলে তো হারাম খাওয়া হবে, এক্ষেত্র আমি কি করবো,বাবাকে বেশি কিছু বললে ধমক দেয়।

1 Answer

0 votes
by (644,100 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।

বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ. 
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(ُبِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
তরজমাঃরেহেন(বন্ধক)এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা।পারিভাষায় রেহেন বলা হয়,কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা।যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জমি বন্ধকের পর উক্ত জমিতে চাষাবাদ করা যাবে না।এবং সেই জমিতে উৎপন্ন কোনো জিনিষকে গ্রহণ করা যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (644,100 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (1 point)
তাহলে যেই চাল আমার চাচা জমি চাষ করে ৩ ভাগের ১ ভাগ আমাদের দিয়েছে তা খাওয়া জায়েজ হবে?
by (644,100 points)
আপনাদের জন্য উক্ত চালের ভাগ জায়েয হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...