আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (67 points)
edited by

১. আমার ঘটনা মনে পরছে, যে আমি একদিন আমার স্ত্রী এর উপর কোনো কারণে রাগ হই অনেক, তখন তাকে ভয় দেখানোর জন্য বলি, দেখা করো, দেখা করে সিদ্ধান্ত নিবো,তোমাকে জানিয়ে দিবো, ইত্যাদি টাইপের কথা কিন্তু মনে মনে তাকে ভয় দেখানো উদ্দেশ্য ছিলো যাতে ভয় পায় আর ভাবে,  তাকে দেকা করতে বলচি চেরে দেওয়ার জন্য,  আর কোনো কেনায়া বাক্য বা এমন কথা বলছি বলে মনে পরছে না যা দারা তালা* হয়ে যায়। এই গুলো বেশি অংশই ম্যাসেন্জারে বলেছিলাম, এই ম্যাসেজ গুলো আমার কাছে আর নাই, তাই নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না, তবে তা আমার বউ এর কাছে আছে। তাই 
এখন তাও আমার সন্দেহ হয় তালা* এর নিয়তে কিছু বললাম কিনা এর ফলে তে।বিবাহে সমস্যা হবে?

২. কি বলেছিলাম তা বউ এর মোবাইল থেকে দেকা কি জরুরী? সে দেখবে কি না জানি না, কারন সে জানে আমি এই সব নিয়ে খোজাখোজি করি.

৩. এই রকম অন্য ঘটনা মনে পরলে আমার যা মনে আছে তা দিয়ে সিদ্ধান্ত নিবো? না কি সন্দেহ দুর করার জন্য সেই  ম্যাসেজ গুলো তার মোবাইল থেকে খোজে বের করা জরুরী?
(যদিও আমি ৯৯% শিওর সরাসরি কোনো কেনায়া বাক্য পর্যন্ত তাকে বলি নি, তা** এর কথা বলা তো দূরের বিষয়, তাও মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়)

৪.  ১ এবং ৩ নং প্রশ্ন লেখার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?

৫. আমার একটা স্টুডেন্ট কে পরিয়েছিলাম, আমার হিসাবে তাদের কাছে ৬০০০ টাকা পাই, তারা মাত্র ৩৫০০ দিয়ে তরা সমস্যায় আছে বলে জানায় আর দিতে পারবে না, আমি তখন তাকে বলি এতো কম দিলে কিভাবে হয়, তুমি আরো ১০০০ দাও, বাকি না হয় বাদ দিয়া দিলাম। এর কিছু দিন পর আজকে বলতেছে ৫০০ টাকা দিবে, আমিও বললাম,ঠিকাছে একজনের সমস্যা আরেকজন দেখতাম, তুমি ৫০০ দিয়ে দিয়ো আর বাকি টাকা তোমারে দিলাম মিস্টি খাইলাইয়ো।

এখন সেই স্টুডেন্ট তো বালেগ, আমি তাকে এই টাকা সাদকা হিসাবে দিয়ে দিয়েছি বিবেচনা করতে পারবো?কারণ আমার অনেক আগে ভুলের জন্য মানুষের এই পরিমান কিছু টাকা আমার কাছে এসেছে, এটা কি আমি এইটাকা সদকা দিয়েছি বিবেচনায় বাদ দিতে।পারবো?
(আসলে আমারো টাকা ওতো নাই, তাও ভাবতেছি যূি এইভাবে টাকা টা কাজে লাগে ভালো হয় নিজের জন্য)

৬. একজন হিন্দু, ইসলামে ইতিহাসে অনার্সে  চান্স পায়, এটা একজনকে বলার পর যে  বলছে সে যদি হেসে দেয় এতে কি কুফর হবে?

৭. একটা মুভির দ্বারা অনুপ্রেরিত হয়ে কেও যদি বলে ফেলে  "আমার মতো হাজার পাটনায়েক দরকার এই কাজ করতে"  (পাটনায়েক হিন্দু ছিলো) এই ভাবে এই কথা বলার ফলে সে কি কাফের হয়ে যাবে?( তার নিজেকে বিধর্মী হিসাবে এই কথা বলার ইচ্ছে ছিলোনা)

৮.দাড়ি একটু লম্বা রাখায় হয়তো একজন দুলাভাই মজা করে,  তার ছেলেকে বলছিলেন এটা তোমার মোল্লা মামা, এটা শুনে আমি একটু হালকা হাসি দেই, এর।ফলে।কি কুফর হবে?

৯. কেও যদি বলে আজকের গরম সমান জাহান্নামের ট্রেলার এতে কি কুফর হবে?

১০. মারিয়া কিবতিয়া (রা:)  কে অনেকে নবী (সা:) এর স্ত্রী বলেন এবং উম্মুল মুমিনিন বলেন, এভাবে বললে কি গুনাহ হবে?

১১. আমরা মজা করে,  পরীক্ষায় যে নকল নেয় সেগুলোকে তাবিজ বলে ডাকতাম, এর ফলে কি কুফর হবে?এভাবে তাবিজ বললে কি গুনাহ হবে?

১২. একটা কবিতার একটা লাইন ছিলো "রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী" এই কবিতা গেয়েছি অনেক, কিন্তু কুফরি হচ্ছে কি না, জানি না পুজার কথা থাকায় হঠাৎ মাথায় আসলো, এর ফলে কি কুফর হবে? 

১৩. আরেক টি কবিতা বিদ্রোহী, যা তে একটা লাইন "ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া" এই লাইন গাওয়ার সময় এটা যে কুফরী হচ্ছে বা ইসলাম বিরুদ্ধে যাচ্ছে তা মাথায় থাকতো কি না বলতে পারছি না, মনে হচ্ছে এমনিই গেয়ে উঠতাম, ভুল হচ্ছে জেনে শুনে বলেছিলাম বলে মনেও পরছে না, এর ফলে কি কুফর হবে? অনেক সময় এই কবিতার প্রসংসা ও করেছি, কিন্তু এই লাইনের বা ইসলাম বিরোধী কথা আছে তা তখন মাথায় ছিলো কি না তা পরিষ্কার হচ্ছে না, মনে হয় ছিলো না, এসবের ফলে কি কুাপর হবে?

১৪. কেও যদি বলে, এই শহরে আমার কেও নাই, বা "আমার কেও নাই" তাহলে কি তার বিবাহে সমস্যা হবে?

১৫. আমি বিভিন্ন জিনিস কুফরী কি না তা জানার জন্য পরে জেনে নিবো ভেবে ভুলে যাই,আজকেও অনেকগুলো ভুলে গেছি, আমার প্রতিদিন অনেক বার ই এরকম হয় তাই, পরে জেনে নিবো ভেবে জমা করি, এর ফলে লি আমার কুফর হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,480 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ 

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.
احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ  
২য় প্রকার,কেনায়া বাক্য।
এর দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু তালাকের নিয়ত অথবা অবস্থার ভিত্তিতে তালাক হবে। কেনায়া বাক্য দুই প্রকার। এর মধ্যে তিনটি শব্দ এমন আছে, যার দ্বারা  তালাকে রজয়ী পতিত হয়। 
সেগুলো হলোঃ- তুমি ইদ্দত পালন করো,তুমি তোমার গর্ভাশয় মুক্ত করো,তুমি এক।

আর কেনায়া তালাকের অন্যান্য শব্দ,যেক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করলে বায়েন তালাক হয়। তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাক পতিত হয়। 
যদি দুই তালাকের নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হয়।
যেমনঃ- তুমি বিচ্ছিন্ন, তুমি সম্পর্ক মুক্ত,তুমি ভিন্ন,তুমি হারাম,তুমি শুণ্য,তুমি মুক্ত,তোমার রশি তোমার কাঁধে,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হও,আমি তোমাকে তোমার পরিবারের জন্য হেবা-দান করলাম,আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,আমি তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি আযাদ,তুমি ঘোমটা পড়,তুমি ওড়না দ্বারা নিজেকে আবৃত করো,তুমি আড়াল হও (পর্দা করো), তুমি বিদূরিত হও, তুমি বের হয়ে যাও,তুমি চলে যাও,তুমি দন্ডায়মান হও (দাঁড়িয়ে যাও), তুমি অন্য স্বামী খুজো।
স্বামীর যদি এখানে নিয়ত না থাকে,তাহলে এ সব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা। তবে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে হলে কাযা'আন তালাক হবে। দিয়ানাতান তালাক হবেনা।
(কুদুরী ৩৬৩.৩৬৪. হেদায়া শরহুল বিদায়াহ ১/২৪১,শরহে বিকায়াহ ২/৭৭)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে স্ত্রীর মোবাইল দেখা জরুর নয়।

(০৩)
আপনার যাহা মনে আছে,তাহা হতেই সিদ্ধান্ত নিবেন।
স্ত্রীর মোবাইল দেখার প্রয়োজন নেই।

(০৪)
 ১ এবং ৩ নং প্রশ্ন লেখার জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রে নফল সদকাহ হিসেবে বিবেচনা করতে পারবেন।
যাকাত হিসেবে নয়।

যাকাত হিসেবে আদায় করতে হলে নিম্নের যেকোনো একটি ছুরত অবলম্বন করতে হবে।

এক,
যদি স্টুডেন্ট নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয় তথা যাকাত গ্রহনের হকদার হয়,সেক্ষেত্রে আপনি যাকাত প্রদানের জন্য ৫০০ টাকা তার হাতে দিয়ে দিবেন।
আর সেই উক্ত টাকা হাতে নেয়ার পর আপনাকে ঋন আদায় বাবদ দিয়ে দিবে।

তাহলে ঋনও পরিশোধ হবে, আপনার যাকাতও আদায় হয়ে যাবে।

দুই,
স্টুডেন্ট ৩য় কোনো ব্যাক্তি থেকে ৫০০ টাকা করজ নিয়ে আপনাকে দিয়ে ঋন শোধ করবে,অতঃপর আপনি তাকে সেই টাকা যাকাত আদায় বাবদ দিয়ে দিবেন।

তাহলে আপনার যাকাত আদায় হবে।

(০৬)
এতে কুফর হবেনা।

(০৭)
এই ভাবে এই কথা বলার ফলে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরন মতে এতটুকুর দরুন এতে কুফর হবেনা।

(০৯)
এতে কুফর হবেনা।

(১০)
এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

(১১)
এর ফলে কুফর হবেনা।
এভাবে তাবিজ বললে গুনাহ হবেনা।

(১২)
এর ফলে কুফর হবেনা। 

(১৩)
এর ফলে কুফর হবেনা। 

(১৪)
কেউ যদি বলে, এই শহরে আমার কেও নাই, বা "আমার কেও নাই" তাহলে তার বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(১৫)
এর ফলে আপনার কুফর হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...